শশী তারুরের সঙ্গে কংগ্রেসের ‘সংঘাত-বিতর্কের’ আবহে কেরল কংগ্রেসকে নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করলেন রাহুল গান্ধী। বোঝানোর চেষ্টা করলেন দলের কেরল নেতৃত্ব এককাট্টাই রয়েছে। সাদা-কালো ওই ছবিতে কেরলের কংগ্রেস নেতাদের ছবি রয়েছে। নেতাদের পিছনের দিক থেকে তোলা হয়েছে। নেতাদের সামনে বেশ কিছু ক্যামেরার ফ্ল্যাশের আলো। ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে তিরুঅনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ তারুরকেও। সমাজমাধ্যমে ছবিটি পোস্ট করে রাহুল লিখেছেন, “তাঁরা একজোট হয়েই রয়েছেন। আগামীর লক্ষ্যের আলোয় তাঁরা এককাট্টা রয়েছেন।”
গত মাসে তারুরের এক নিবন্ধ ঘিরে অস্বস্তিতে পড়ে কংগ্রেস শিবির। কেরলে নতুন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান (স্টার্ট আপ) বৃদ্ধির প্রশংসা করেন তারুর। তা থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। প্রশ্ন উঠতে থাকে তা হলে কি কেরলের বাম নেতৃত্বাধীন জোট এলডিএফ-এর প্রশংসা করছেন তিনি? বিতর্কের আবহে নিজের অবস্থানও ব্যাখ্যা করেন তারুর। কংগ্রেস সাংসদের বক্তব্য, তিনি বামেদের জোট সরকারের প্রশংসা করেননি। কেবল রাজ্যের উন্নয়নকে তুলে ধরেছেন।
তবে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। কংগ্রেসের কেরল নেতৃত্ব ওই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানায়। দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ভোটের আগে দলের হাজার হাজার কর্মীর সঙ্গে যেন ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ না-করেন তারুর। ধরেছেন। এ ছাড়া, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফরকেও স্বাগত জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও মোদীর আমেরিকা সফরের বেশ সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস শিবিরকে।
আরও পড়ুন:
এই বিতর্কের আবহে গত শুক্রবার দিল্লিতে কেরলের প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে, ওয়েনাড়ের সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা, এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল, এআইসিসি-র তরফে কেরলের ভারপ্রাপ্ত দীপা দাশমুন্সি-সহ শীর্ষ কংগ্রেস নেতারা। বৈঠকে হাজির ছিলেন তারুরও। দলীয় সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে তারুরের সামনেই কেরলের কংগ্রেস নেতাদের সাবধান করে দিয়ে বলা হয়, তাঁরা যেন দলীয় লাইনের বাইরে গিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য না করেন। রাজনৈতিক কৌশল রচনার ক্ষেত্রেও দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশ মেনেই এগোতে বলা হয়েছে। আগামী বছরে কেরলে বিধানসভা ভোট রয়েছে। তার আগে দলের রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং সংঘাতের কোনও বাতাবরণ যাতে তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে চাইছেন কংগ্রেসের দিল্লির নেতারা।