Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Caste Census

‘কংগ্রেস জিতলে পঞ্চায়েত ভোটে তেলঙ্গানায় ওবিসি সংরক্ষণ ৪২ শতাংশ’, প্রতিশ্রুতি দিলেন রাহুল

পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগেই রাহুল তুলেছেন, ‘জিতনি আবাদি, উতনা হক’ (যে জনগোষ্ঠীর যত সংখ্যা, সংরক্ষণে তার তত অধিকার) স্লোগান। এ বার ওবিসি কোটা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:০৩
Share: Save:

জাতগণনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আগেই। এ বার ভোটমুখী তেলঙ্গানায় কংগ্রেসের প্রচারে গিয়ে রাহুল গান্ধী প্রতিশ্রুতি দিলেন, তাঁর দল ক্ষমতায় ফিরলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়ের (ওবিসি) জন্য সংরক্ষিত আসন ২৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪২ শতাংশ করবে। পিনাপাকা, নরসম্পেট এবং ওয়ারঙ্গলের জনসভায় তাঁর প্রতিশ্রুতি, ‘‘ক্ষমতায় এলে পঞ্চায়েতি রাজ আইনে প্রয়োজনীয় বদল করবে কংগ্রেস।’’

বিহারে জাতভিত্তিক সমীক্ষা এবং তার রিপোর্টের নিরিখে সরকারি চাকরি এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে অন্য অনগ্রসর সম্প্রদায় (ওবিসি) এবং তফসিলিদের কোটা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের পরেই বিষয়টিকে পাঁচ রাজ্যের ভোট প্রচারে গুরুত্ব দিচ্ছেন রাহুল। ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের পরে এ বার দক্ষিণের রাজ্য তেলঙ্গানাতেও ‘ওবিসি তাস’ খেললেন তিনি। তুলেছেন, ‘জিতনি আবাদি, উতনা হক’ (যে জনগোষ্ঠীর যত সংখ্যা, সংরক্ষণে তার তত অধিকার) স্লোগান।

তেলঙ্গানার ভোটপ্রচারেও সেই স্লোগান দিয়ে রাহুল বলেন, ‘‘যদি তফসিলি জাতি-জনজাতি (এসসি-এসটি) এবং ওবিসিদের সংখ্যা ৫০ শতাংশের বেশি হয়, তবে তাঁদের প্রতিনিধিত্বও সেই অনুপাতে পাওয়া উচিত।’’ প্রসঙ্গত, বিহারে জাত সমীক্ষার বিরোধীরা আদালতে অভিযোগ করেছিলেন, বিহার সরকারের এই পদক্ষেপ ‘বৈষম্যমূলক এবং অসাংবিধানিক’। এই পদক্ষেপ সংবিধানের মৌলিক অধিকার এবং ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদের (সমতা ও সাম্যের অধিকার) পরিপন্থী। কিন্তু বিহার সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পটনা হাই কোর্টে আবেদন জানানো হলেও স্থগিতাদেশ মেলেনি।

সেই মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। কিন্তু শীর্ষ আদালত স্থগিতাদেশ না দেওয়ায় বিহারের জেডিইউ-আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকার গত ৯ নভেম্বর সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে জাতভিত্তিক সংরক্ষণ ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করানোর বিল পাশ করিয়েছে। নীতীশ কুমারের সরকারের ওই বিলে বিহারে অনগ্রসর (ওবিসি) এবং অতি অনগ্রসরদের (ইবিসি) জন্য সংরক্ষণ ২৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৩ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি, তফসিলি জাতির (এসসি) সংরক্ষণ ১৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব রয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানে তফসিলি জনজাতিভুক্তদের জন্য সাত শতাংশ সংরক্ষণ থাকলেও তা দুই শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখতে চায় বিহার সরকার।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy