দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। খাতাই খুলতে পারেনি শতাব্দীপ্রাচীন এই দল। ভোট শতাংশের হিসাবে গত নির্বাচনের তুলনায় সামান্য বেশি পেলেও দিল্লিতে একটাও আসন জিততে পারেনি তারা। দিল্লিবাসীর এই রায় ‘বিনম্র’ চিত্তে মেনে নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। ভোটের ফল আশাপ্রদ না হলেও লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তাই দিয়েছেন তিনি। দিল্লির কী কী বিষয় নিয়ে লড়াই চলবে তা-ও জানান রাহুল।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
এ বারের দিল্লি ভোটে একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ভোটের আগে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বার বার বৈঠকেও বসে আসনরফা হয়নি। ফলে কংগ্রেসও এ বারের নির্বাচনে দিল্লির ৭০টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল। লড়াই ছিল ত্রিমুখী। কিন্তু শনিবার ভোটগণনার শুরু থেকেই বোঝা যায়, দিল্লির লড়াই মূলত আপ এবং বিজেপির। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই স্পষ্ট হয়ে যায় দিল্লিতে আসছে বিজেপিই। আসনসংখ্যায় অনেকটাই পিছিয়ে যায় কেজরীর দল। আর কংগ্রেসের প্রাপ্তি শূন্য।
আরও পড়ুন:
ভোটের ফল নিয়ে বিজেপি যখন উচ্ছ্বসিত, সেই আবহে মুখ খুললেন রাহুল। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে রাহুল জানালেন, দিল্লির ফল মেনে নিচ্ছে কংগ্রেস। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থক এবং দিল্লিবাসীকে ধন্যবাদও জানান রাহুল। তবে তিনি বুঝিয়ে দেন, ভোটের ফল যাই হোক না কেন, দিল্লির অগ্রগতি এবং দিল্লিবাসীর অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে কংগ্রেস। দুর্নীতি, মুদ্রাস্ফীতি এবং দূষণের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের লড়াই চলবে বলেই জানান রাহুল।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
দিল্লিতে একলা চলো নীতিতে হেঁটে মাসুল দিতে হয়েছে আপকে। ভোটগণনার পর দেখা যাচ্ছে, কেজরীর অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসেরই মাসুল গুনতে হচ্ছে আপকে। ২২টি আসন আপের দখলে। বিজেপি পেল ৪৮টি আসন। কিন্তু কংগ্রেসের প্রাপ্তি শূন্য হলেও এ বারের ভোটের ফলে অন্যতম ‘ফ্যাক্টর’ তারাই। খাতায়কলমে হিসাব বলছে, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র দুই শরিক আপ এবং কংগ্রেসের ভোট কাটাকাটির ফলে ১৪টি আসনে জয় নিশ্চিত করে নিয়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আপ এবং কংগ্রেস জোট করে লড়লে দিল্লির ফল অন্য হতেই পারত। যদিও রাহুল সেই নিয়ে একটি বাক্যও খরচ করেননি। হাঁটেননি কোনও আক্রমণ বা কটাক্ষের পথে। অনেকটা কেজরীওয়ালের সুরে সুর মিলিয়েই মেনে নিলেন ভোটের ফল।