রাহুল গাঁধী। ফাইল ছবি।
নিতিন গডকড়ীর সেমসাইড গোলে এগিয়ে গেলেন রাহুল গাঁধী।
কাজ কোথায়?
নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রথম সারির মন্ত্রী গডকড়ী এই প্রশ্নটিই প্রকাশ্যে তুলে ফেলেছেন। যে প্রশ্ন রাহুলরা তুলে আসছেন কয়েক বছর ধরেই। সামনের লোকসভা ভোটে বেকারত্ব নিয়ে যুবকদের হতাশাকে তুলে ধরে প্রচার করা বিরোধীদের অন্যতম হাতিয়ার। এ বার তাদেরই অস্ত্রে শান দিয়ে বসলেন মোদীর মন্ত্রী!
মরাঠা ও অন্য কয়েকটি সম্প্রদায়ের সংরক্ষণের দাবির প্রেক্ষিতে গডকড়ী বলেছিলেন, ‘‘ধরা যাক সংরক্ষণ আছে, কিন্তু কাজ কোথায়? তথ্যপ্রযুক্তি আসায় ব্যাঙ্কে চাকরি কমেছে। সরকারি ক্ষেত্রেও নিয়োগ প্রায় বন্ধ।’’ গডকড়ী যে ভুল বলছেন, এমন নয়। রাজ্যসভায় সরকার জানিয়েছে, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ২৪ লক্ষ পদ এখনও খালি। এর মধ্যে সব থেকে বেশি স্কুল শিক্ষক, তার পরেই পুলিশ, রেল, আধাসেনা, ডাক বিভাগে।
রাহুল আজ টুইট করে বিদ্রুপের সুরেই প্রশস্তি করেন গডকড়ীর। বলেন, ‘‘অপূর্ব প্রশ্ন গডকড়ীজি। প্রত্যেক ভারতীয় এখন ঠিক এটাই জানতে চাইছেন— দেশে কাজ কোথায়?’’ সকলেই জানেন, গডকড়ী সোজাসাপ্টা কথা বলতে অভ্যস্ত। স্পষ্ট কথা বলে আগেও মোদীকে বেগ দিয়েছেন তিনি। ‘অচ্ছে দিন’ স্লোগান যে মোদীরই গলার কাঁটা হয়ে গিয়েছে, আর সে কথা প্রধানমন্ত্রী নিজেই যে তাঁকে বলেছিলেন, প্রকাশ্যেই তা জানিয়েছিলেন গডকড়ী। তবে গডকড়ী নতুন করে বিতর্ক উস্কে দেওয়ায় চরম অস্বস্তি মোদী শিবিরে। অধিকাংশ নেতাই মন্তব্য এড়িয়ে যাচ্ছেন। অল্পবিস্তর যে ক’জন মুখ খুলছেন, তাঁদের দাবি, মন্ত্রীর কথা বুঝতে ভুল হয়েছে। কিন্তু তলে তলে অনেকের মনেই প্রশ্ন, এ সব জেনেবুঝে মোদীকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা নয় তো?
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে ভাল রাঁধতে বলা নির্যাতন নয়: কোর্ট
রাহুল আজ দলকে বলেছেন, গডকড়ীর মন্তব্য নিয়ে প্রচারের মাত্রা বাড়াতে। আগামিকাল কংগ্রেসের সংসদীয় দল ও মহিলা কংগ্রেসের সম্মেলনে এ নিয়ে আলোচনা হবে। পরিস্থিতি সামলাতে রাতেই অমিত শাহ মরাঠা নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। পাল্টা কৌশল ঠিক করতে রাহুলও মহারাষ্ট্রের নেতাদের দিল্লিতে ডেকেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy