আনন্দীবেনের ইস্তফাকে সামনে রেখে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে পুরনো অভিযোগকে সুকৌশলে খুঁচিয়ে তুললেন রাহুল গাঁধী।
মোদী ও অমিত শাহের চাপে কালই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেছেন আনন্দীবেন। পটেল-আন্দোলন, দলিত-নিগ্রহ ও জমি-দুর্নীতি নিয়ে বিতর্কে ডুবে থাকা আনন্দীবেনকে না সরালে সামনের বছর ভোটে মোদীর রাজ্য হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা করছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির নেতারা বুঝতে পারছিলেন, মোদীর প্রকৃত উত্তরসূরি হয়ে উঠতে পারছেন না আনন্দীবেন। কিন্তু আনন্দীর উপরে দায় না চাপিয়ে আজ অভিযোগের তিরটি রাহুল ঘুরিয়ে দিয়েছেন মোদীর বিরুদ্ধেই। টুইট করে রাহুল বলেছেন, ‘‘আনন্দীবেনকে সরিয়ে দিয়ে বা তাঁকে বলির পাঠা করে বিজেপি বাঁচতে পারবে না। আসলে গুজরাত জ্বলছে মোদীর ১৩ বছরের শাসনের ফলে। ২ বছরের আনন্দীবেনের জমানা সমস্যার জন্য দায়ী নয়।’’
রাহুলের শব্দচয়নেই স্পষ্ট, গুজরাত ‘জ্বলা’র কথা বলে কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সুকৌশলে মোদী জমানায় গুজরাতে গোষ্ঠী সংঘর্ষের কথা টেনে আনতে চেয়েছেন। যার ভূত এখনও নানা ভাবে তাড়া করে বেড়াচ্ছে মোদীকে। কিন্তু বিজেপির মতে, বিরোধী দলের নেতারা সমালোচনা তো করবেনই। কিন্তু বাস্তব ঘটনা হল, রাজ্যে প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা করে নরেন্দ্র মোদী যে রাজ্যপাট ছেড়েছিলেন, তাতে দু’বছরে হিতে বিপরীত হয়েছে। এখন নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করতে গিয়ে দলকে অনেক কিছু ভাবতে হচ্ছে। বিজেপির এক নেতার কথায়, এমন একজনকে এই কুর্সিতে বসানো দরকার, যিনি মোদীর যথার্থ উত্তরসূরি হতে পারেন। বিজেপির বড় অংশের কর্মী-নেতারা তাই অমিত শাহকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। তাঁদের মতে, একমাত্র ‘অমিতভাই’ পারেন হাল ধরতে। বিজেপি সভাপতির পদ বরং অন্য কাউকে ছেড়ে দেওয়া হোক। তাঁদের মতে, বাকি যাঁর নামই মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বিবেচনা করা হবে, তাঁর বিরুদ্ধে অসন্তোষ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।
দলের এই টালমাটাল অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে আলোচনা করতে আগামিকাল সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক বসছে। তার পরেই কলকাতা যাওয়ার কথা অমিত শাহের। সপ্তাহের শেষে অমিত শাহ গুজরাত যাবেন। তার আগেই নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy