Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Covid -19

WHO Covid Deaths Report: হু-র রিপোর্টে মৃত্যু ঘিরে শুরু তরজা

হু-র দাবি, ভারতে কোভিডে মারা গিয়েছেন অন্তত ৪৭,২৯,৫৪৮ জন। কিন্তু কেন্দ্রের হিসাবে, সংখ্যাটা মাত্র পাঁচ লক্ষের সামান্য বেশি।

ছবি সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২২ ০৫:৫৯
Share: Save:

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র দাবি, ভারতে কোভিডে মারা গিয়েছেন অন্তত ৪৭,২৯,৫৪৮ জন। কিন্তু কেন্দ্রের হিসাবে, সংখ্যাটা মাত্র পাঁচ লক্ষের সামান্য বেশি। হু-র আগে ব্রিটেনের জার্নাল ল্যানসেটও ভারতে ঘোষিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ করোনায় মারা গিয়েছেন বলে দাবি করেছিল। ফলে ফের শুরু হয়েছে বিতর্ক ও রাজনৈতিক তরজা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর টুইট, ‘‘বিজ্ঞান কখনও মিথ্যা বলে না। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী বলেন।’’ সরকারের পাল্টা যুক্তি, গাণিতিক মডেল দিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা মাপতে গেলে ভুল হবেই।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, প্রতিটি রাজ্যে কোভিড-জনিত মৃত্যুর সংখ্যা যোগ করেই তারা হিসাব কষেছে। কাজেই ওই অঙ্ক নির্ভুল। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, হু-র গণনার নীতির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন তুলেছে ভারত। কারণ অতীতে হু নিজেই স্বীকার করেছে, তারা কিছু ওয়েবসাইট ও সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে ভারতের ১৭টি রাজ্যে কোভিডে মৃত্যুর পরিসংখ্যান সংগ্রহ করেছিল। কেন্দ্রের মতে, ওই বেসরকারি তথ্যসূত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। খুব সামান্য তথ্য সংগ্রহ
করে তাকে গাণিতিক মডেলে ফেলে গোটা ভারতের ছবি আন্দাজ করতে চেয়েছে হু।

কেন্দ্রের কোভিড ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারম্যান এন কে অরোঢ়া বলেন, ‘‘একই বিষয় নিয়ে দু’টি রিপোর্টে ১০-১৫ শতাংশ পার্থক্য হতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা ১০ গুণ বেশি। হু-র ওই দাবি মেনে নেওয়া যায় না, বিশেষ করে যেখানে ভারতে জন্ম-মৃত্যুর তথ্য নথিভুক্ত করার নির্দিষ্ট ব্যবস্থা (সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম) রয়েছে। সেই ব্যবস্থায় কোভিড সংক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা ও বিভিন্ন রাজ্য থেকে কেন্দ্রের সংগৃহীত তথ্যের বিশেষ ফারাক নেই।’’ নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) বিনোদ পলের কথায়, ‘‘এক মডেল সব দেশে খাটে না। যে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা নথিভুক্ত হয় না, সেখানে হু নিজের মডেল প্রয়োগ করতে পারে। কিন্তু ভারতে যখন বিধিবদ্ধ ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে গাণিতিক মডেলের ভিত্তিতে একটি সংখ্যা বলে দেওয়া মোটেই কাম্য নয়।’’ এর পাশাপাশি সরকারের বক্তব্য, কোভিডে মৃত্যুতে যখন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে, তখন মৃতের পরিজনদের তরফে তথ্য গোপনের কোনও যুক্তি নেই। হু-র গণনার সঙ্গে যুক্ত প্রশান্ত ঝা-র মতে, দেশে জনগণনা শুরু হলে প্রত্যেক পরিবারের কাছে প্রশ্ন রাখা উচিত, ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে পরিবারে কারও করোনায় মৃত্যু হয়েছে কি না। তা হলেই আসল চিত্রটি স্পষ্ট হবে।

বিরোধীদের যদিও অভিযোগ, হু-র পরিসংখ্যানই আসল চিত্র। সরকারি তালিকার বাইরে থাকা মৃতদের পরিবারকে অবিলম্বে চার লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলেছেন রাহুল। বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র পাল্টা বলেছেন, ‘‘রাহুল গান্ধীর লক্ষ্যই হল, দেশকে বদনাম করা। অতীতেও করেছেন। এ বারও তার ব্যতিক্রম হল না।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Covid -19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy