(বাঁ দিকে) কঙ্গনা রানাউত এবং রাহুল গান্ধী (ডান দিকে)। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির চেয়ারম্যানের ‘যোগসূত্র’ নিয়ে এ বার পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটল বিজেপি। শনিবার আমেরিকার বেসরকারি সংস্থা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের উদ্দেশে তোপ দেগেছিল বিরোধী দলগুলি। সেবি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ এবং সরকারের কৈফিয়ৎ দাবি করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সোমবার তাঁর পাল্টা রাহুলকে ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক’ এবং ‘বিষাক্ত’ বলে কটাক্ষ করলেন হিমাচল প্রদেশের মন্ডী কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ তথা বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত।
রবিবার রাহুল দাবি করেছিলেন ভারতের শেয়ার বাজার বিপদের মধ্যে রয়েছে। তার কারণ ব্যাখ্যা করে লোকসভার বিরোধী দলনেতা জানিয়েছিলেন, শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি আপসের পথে হেঁটেছে। প্রসঙ্গত, হিন্ডেনবার্গের গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির বিদেশে থাকা সংস্থায় অংশীদারিত্ব রয়েছে সেবি প্রধান মাধবী পুরী বুচ ও তাঁর স্বামী ধবল বুচের। ২০১৭ সালে সেবিতে যোগ দেন মাধবী। রিপোর্টে এ-ও দাবি করা হয়, সেই সময় সম্ভাব্য নজরদারি এড়াতে মাধবীর নামে থাকা সমস্ত বিদেশি বিনিয়োগ নিজের নামে করে নেন তাঁর স্বামী। হিন্ডেনবার্গের এই অভিযোগকে উদ্ধৃত করে রাহুল। যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে ‘চরিত্রহননের চেষ্টা’ বলে উড়িয়ে দেন বুচ দম্পতি। কিন্তু রাজনৈতিক চাপানউতর থেমে থাকেনি।
রবিবার সকালে নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে কঙ্গনা রাহুলকে আক্রমণ করে লেখেন, “উনি (রাহুল) এক জন খারাপ, বিষাক্ত এবং ধ্বংসাত্মক মানুষ। প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে দেশকে ধ্বংস করে দেওয়াই ওঁর লক্ষ্য।” কঙ্গনার দাবি, হিন্ডেনবার্গ ভারতের শেয়ার বাজার নিয়ে ভুল বার্তা দিচ্ছে আর রাহুল সেটিকেই সমর্থন করছেন।
রবিবার রাহুল বলেছিলেন, “কেন এখনও সেবির চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ কেন এখনও ইস্তফা দিলেন না? যদি (শেয়ার বাজারে) বিনিয়োগকারীরা তাঁদের কষ্টার্জিত অর্থ হারান, তবে কে দায়ী থাকবেন— প্রধানমন্ত্রী মোদী, সেবির চেয়ারপার্সন, নাকি গৌতম আদানি?” মোদীর নাম টেনে রাহুলের আক্রমণ করাকে ভাল চোখে দেখছে না বিজেপি। দলের তরফে বলা হচ্ছে, অসূয়া এবং বিদ্বেষ থেকেই এমন কাজ করছেন রাহুল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy