রাহুল গান্ধী এবং উদ্ধব ঠাকরে। ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে ধীরে ধীরে গতি পাচ্ছে ‘বিরোধী ঐক্য’ গড়ে তোলার উদ্যোগ। চলতি সপ্তাহে দিল্লিতে জেডি(ইউ) প্রধান নীতীশ কুমার এবং আরজেডি সভাপতি লালুপ্রসাদের পুত্র তেজস্বীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। এর পর এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা।
দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, চলতি সপ্তাহেই মহারাষ্ট্রে যাবেন রাহুল-খড়্গে। মুম্বইয়ের মাতোশ্রীতে বৈঠক করবেন, শিবসেনা (বালাসাহেব) নেতা উদ্ধবের সঙ্গে। কংগ্রেসের ওই সূত্র বলছে, দিল্লির বৈঠকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বীর সঙ্গে লোকসভা ভোটে মহাজোটের শরিকদের আসন সমঝোতার বিষয়ে ‘ইতিবাচক’ আলোচনা হয়েছে। এ বার রাহুলের ‘নজরে’ মহারাষ্ট্র।
মরাঠা রাজনীতিতে গত প্রায় আড়াই দশক ধরে আসন সমঝোতা করে ভোটে লড়ছে কংগ্রেস এবং এনসিপি। এ বার সেই জোটে মহাবিকাশ অঘাড়ীর শরিক উদ্ধবের দলের পাশাপাশি, প্রাক্তন সাংসদ রাজু শেট্টির স্বাভিমানী পক্ষও অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলে জল্পনা। এই পরিস্থিতিতে পওয়ারের পরামর্শ মেনেই রাহুল মাতোশ্রীতে যাচ্ছেন বলে কংগ্রেসের ওই সূত্র জানাচ্ছে। শিবসেনার (বালাসাহেব) নেতা সঞ্জয় রাউতও এমন বৈঠকের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। শনিবার তিনি বলেন, ‘‘সোমবার কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল মাতোশ্রীতে যাবেন। সেখানে রাহুল এবং খড়্গেজির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।’’
২০২৪-কে পাখির চোখ করে মূলত দু’টি সূত্র মেনে বিরোধী ঐক্য গড়তে চাইছে কংগ্রেস। প্রথমত, লোকসভা নির্বাচনের আগেই কোনও আনুষ্ঠানিক বিরোধী জোট বা মঞ্চ তৈরির বদলে যত বেশি সম্ভব আসনে বোঝাপড়ার মাধ্যমে বিজেপি বিরোধী ঐক্যবদ্ধ প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা হবে। দ্বিতীয়ত, আনুষ্ঠানিক বিরোধী জোট না ঘোষণা করার ফলে সেই জোটের নেতা বা ‘মুখ’ কে হবেন, তা নিয়ে বিতর্ক এড়িয়ে যাওয়া হবে। সূত্রের খবর, তৃণমূল-সহ অনেক বিরোধীরই আপত্তি রয়েছে বুঝে কংগ্রেস আগেভাগে রাহুলকে বিরোধী জোটের নেতা হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করবে না। ইতিমধ্যেই বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে রাহুল নিজেও সেই ‘বার্তা’ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy