Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Rahul Gandhi

Rahul Gandhi: সংবর্ধনার মঞ্চে সিংহ ভাগ জুড়ে মোদীর মুখ! আসলে পদক জিতল কে, কটাক্ষ নেটমাধ্যমে

তুলনায় একেবারে ছোট ছোট সাত বৃত্তে সাত পদকজয়ী! এ ছবি সামনে আসার পরেই সমালোচনা, বিতর্ক আর মশকরায় মজল সমাজমাধ্যম।

সংবর্ধনা মঞ্চের পিছনে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া সেই পোস্টার।

সংবর্ধনা মঞ্চের পিছনে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া সেই পোস্টার। ছবি পিটিআই।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২১ ০৭:২৩
Share: Save:

গত সপ্তাহেই দেশের সর্বোচ্চ ক্রীড়াসম্মান ধ্যান চাঁদের নামে করার সরকারি টুইটে ছবি জুড়ে তিনি। কার্যত এক কোণে হকির জাদুকর! সোমবার প্রায় তারই পুনরাবৃত্তি টোকিয়ো অলিম্পিক্সে পদকজয়ীদের সরকারি সংবর্ধনার অনুষ্ঠানে। মঞ্চের পিছনে ছবির সিংহ ভাগ জুড়ে নরেন্দ্র মোদীর মুখ। সেই তুলনায় একেবারে ছোট ছোট সাত বৃত্তে সাত পদকজয়ী! এ ছবি সামনে আসার পরেই সমালোচনা, বিতর্ক আর মশকরায় মজল সমাজমাধ্যম। ভেসে এল কটাক্ষ, ‘মেডেল আসলে জিতলেন কে? নীরজ চোপড়া, মীরাবাই চানু, পি ভি সিন্ধুরা? না কি উনি?’

অলিম্পিক্স চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী কখনও পদকজয়ী অ্যাথলিটদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন, আবার কখনও সান্ত্বনা দিয়েছেন একটুর জন্য ব্রোঞ্জ হারানো মহিলা হকি দলকে। দ্রুত সেই ছবি সংবাদ ও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে সরকার এবং বিজেপি। কখনও আবার স্বাধীনতার ৭৫ বছরের সঙ্গে অলিম্পিক্স সাফল্যকে জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মোদী নিজে। বিরোধীরা বলেছেন, ‘ভাবখানা এমন, যেন ওঁর প্রেরণাতেই একের পর এক পদকজয়।’ সেই কটাক্ষের সূত্র ধরেই এ দিন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী ফের মনে করিয়ে দিয়েছেন, গত বাজেটেও ক্রীড়া খাতে ২৩০ কোটি টাকা ছাঁটাই করেছে মোদী সরকার। অথচ এখন অলিম্পিক্সের ভাল ফলকে নিজেদের সাফল্য হিসেবে তুলে ধরতে মাঠে নেমে পড়েছে তারা।

শুধু তা-ই নয়। বিজেপির এই চেষ্টাকে বেআব্রু করতে এ দিন সকাল থেকেই হরিয়ানা সরকারকে নিশানা করেছেন রাহুল। তাঁর টুইট, ‘‘শুধু শুকনো অভিনন্দন না জানিয়ে খেলোয়াড়দের বকেয়া পুরস্কারের টাকা দিন।...ভিডিয়ো কল অনেক হয়েছে। এ বার ঘোষিত পুরস্কারের টাকাটা অন্তত দেওয়া হোক।’’ সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন হরিয়ানার ক্রীড়াবিদের পূর্ব প্রতিশ্রুত টাকা না-পাওয়ার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর। নিশানা হরিয়ানা সরকার হলেও, কটাক্ষের তির মোদীর দিকেও।

হরিয়ানা সরকার ও বিজেপিকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে টোকিয়োয় একাধিক পদকজয়ীর পুরনো টুইট। ২০১৯ সালের জুনে করা এক টুইটে এ বার অলিম্পিক্সে কুস্তিতে ব্রোঞ্জ জেতা বজরং পুনিয়া মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, ২০১৮ সালে এশিয়ান গেমসে সোনা জেতার জন্য তাঁকে তিন কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ। ওই টুইটে পুনিয়ার প্রশ্ন ছিল, ‘‘যদি আপনারা কথা রাখতেই না পারেন, তা হলে ভবিষ্যতে খেলোয়াড়রা আর কী প্রত্যাশা রাখবে?’’ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ওই বার্তা রি-টুইট করেছিলেন টোকিয়োয় দেশকে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে প্রথম সোনা এনে দেওয়া নীরজও। প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘‘কথা রাখুন। যাতে আমরা টাকার চিন্তা ঝেড়ে ফেলে অলিম্পিক্সের প্রস্তুতিতে মন দিতে পারি।’’ এ বারও টোকিয়োয় সাফল্যের পরে নীরজের জন্য ৬ কোটি এবং বজরংকে ২.৫ কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলেছে হরিয়ানা সরকার। কংগ্রেসের কটাক্ষ, এ বারও টাকা হাতে পৌঁছবে তো?

পদকজয়ী অ্যাথলিটরা দেশে ফেরার পরে তাঁদের ‘কৃতিত্বে ভাগ বসাতে’ কেন্দ্র যে ভাবে ঝাঁপিয়েছে, তা দৃষ্টিকটূ বলে বিঁধছে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। তেমনই শাসক দলের নেতারাও পাল্টা বলছেন, খুঁজলে এই একই রকম অভিযোগ তোলা যেতে পারে বিরোধী দল ও তাদের শাসিত বহু রাজ্যের বিরুদ্ধেও।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE