লোকসভায় রাহুল গাঁধী। ছবি পিটিআই।
টুইটার ছেড়ে অবশেষে সরাসরি ময়দানে রাহুল গাঁধী। লোকসভায় কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে বক্তৃতা করতে উঠেছিলেন। তার বদলে কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রকে একের পর এক আক্রমণ করলেন তিনি। বললেন, কেন্দ্র কৃষি আইন বানিয়েছে আসলে তাদের ধনী ‘বন্ধু’দের আরও ধনী বানানোর লক্ষ্যে। কৃষকদের ভাত মেরে যে ভাবে দুই নির্ভরযোগ্য ‘বন্ধু’র পকেট ভরতে ব্যস্ত বিজেপি, তাতে তাদের স্লোগান হওয়া উচিত ‘হাম দো হামারে দো’। পরিবার পরিকল্পনার পুরনো সরকারি স্লোগানের সঙ্গে কেন্দ্রের কৃষি আইনে সম্পর্ক কী?
রাহুলের দীর্ঘ বক্তৃতার ব্যাখ্যা করলে যা দাঁড়ায়, কেন্দ্রীয় সরকার চলে মূলত দু’জনের কথায়। আর এই সরকার তাদের দুই ধনী বন্ধুর স্বার্থসিদ্ধিতেই ব্যস্ত। এই বন্ধুরা কারা, তা মুখে না বললেও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন রাহুল। কৃষি আইনের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় আইনটিকে ধরে ধরে ব্যাখ্যাও করেছেন।
রাহুল বলেছেন, ‘‘প্রথম কৃষি আইনের লক্ষ্য হল কেন্দ্রের এক ধনী বন্ধুকে দেশের সমস্ত ফসলের অধিকার পাইয়ে দেওয়া। এতে কাদের সমস্যা হবে? ছোট ব্যবসায়ীদের। ফসল মাণ্ডিতে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের।’’
দ্বিতীয় কৃষি আইনেরও ব্যখ্যা করেন রাহুল। কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘দ্বিতীয় আইনের লক্ষ্য বড় ব্যবসায়ীদের যত খুশি শস্য, ফসল, ফলমূল মজুত করার সুবিধা দেওয়া। তার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আইনেরও পরোয়া করেনি সরকার।’’ এর ফলে বেশি মজুতকরণের ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যবসায়ীরা আরও বেশি শস্য মজুত করতে পারবেন। জলের দরে শস্য কেনার জন্য চাপ দিতে পারবেন কৃষকদের।
রাহুল বলেছেন, ‘‘এর পর যখন ন্যায্যদামের অধিকার চেয়ে এই বড় সংস্থাগুলিকে অনুরোধ করবে কৃষকরা, তখনও তা-ও জুটবে না। কেন না তৃতীয় কৃষি আইনে সরকার এই ন্যায্যমূল্যের অধিকার চেয়ে তাঁদের আদালতে যাওয়ার অধিকারও খর্ব করেছে।’’ এ ভাবেই কৃষকদের ভাতে মেরে কেন্দ্র ধনী বন্ধুদের স্বার্থসিদ্ধি করেছে বলে অভিযোগ করেন রাহুল।
যদিও রাহুলের এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে বিজেপি সাংসদরা। রাহুল বাজেট নিয়ে কথা বলতে উঠে কেন এই সব মন্তব্য করছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। জবাবে রাহুল বলেন, কৃষিও তো বাজেটেরই অঙ্গ। তাহলে কেন কথা বলা যাবে না।
রাহুল বৃহস্পতিবার সংসদে বলেন, ‘‘বাজেট নিয়ে আমি কথা বলব না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রায়শই জানতে চান কৃষি আইনের সমস্যা কোথায়। তাই ভাবলাম আজ ওঁরই প্রশ্নের জবাব দিয়ে যাই।’’
রাহুলের এই ব্যাখ্যার জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘‘রাহুল বাজেট নিয়ে কথা বলবেন কী করে, কংগ্রেস তো বাজেট পেশের অর্ধেক সময় সংসদে ছিলই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy