অমিত শাহ।
দিল্লির ভোট আর নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা কমানো। এই জোড়া লক্ষ্যে নিশানায় কারা, দুপুরেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন অমিত শাহ। অরবিন্দ কেজরীবালের পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক উস্কানি ছড়ানোর জন্য সরাসরি দায়ী করেছেন ‘রাহুলবাবা’ (রাহুল গাঁধী) আর প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে। ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’কে জেলে পাঠানোর কৃতিত্ব দাবি করে নাগরিকত্ব আইনের যাঁরা বিরোধিতা করছেন, সজোরে ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলে তাঁদের কানের পর্দা ফাটিয়ে দিতে বললেন।
আর বিকেল হতেই অমিত শুরু করলেন ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচার। বেছে নিলেন দিল্লির লাজপত নগর এলাকা। সেখানে অনেক শিখ শরণার্থীর বাস। পাকিস্তানের নানকানা সাহিবের উপর হামলাকে পুঁজি করে তাঁদের কাছে নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে সওয়াল করলেন। হাতে নরেন্দ্র মোদীর ছবি সম্বলিত একটি পুস্তিকা। যাতে বোঝানো আছে নাগরিকত্ব আইনের লক্ষ্য কী। অমিত বললেন, ‘‘অনেক অপপ্রচার হচ্ছে। এটি পড়লেই সব বুঝবেন, কেন আইনকে সমর্থন করা উচিত। মোবাইল ফোন বের করে ‘মিসড কল’ দিন মোদীকে। প্রধানমন্ত্রী জেনে যাবেন, আপনার সমর্থন রয়েছে।’’
গোটা পাড়া জুড়ে তখন বিজেপি কর্মীদের স্লোগান উঠছে, ‘জয় শ্রী রাম’, ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’, ‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’, ‘উই সাপোর্ট সিএএ’। তারই মধ্যে এক নারী কণ্ঠ আওয়াজ তুলল: ‘‘গো ব্যাক অমিত শাহ’’। মহিলার সামনে একটি পোস্টার ঝোলানো, তাতে লেখা ‘শেম’। নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জির বিরোধিতা করছেন তিনি। সঙ্গে আরও দুই-একজন দাঁড়িয়ে।
বিজেপি কর্মীরা নীচ থেকেই তেড়েফুঁড়ে উঠলেন। উপরে উঠে কেউ পোস্টার ছিঁড়ে ফেললেন। বাড়ির মালিক দরজা বন্ধ করে দিলেন। যাতে মিডিয়া উপরে না যেতে পারে। অমিত অনেকটা দূরে এগিয়ে গিয়েছে ততক্ষণ। ভিড়কেও সে দিকে সরিয়ে নেওয়া হল। স্থানীয় বাসিন্দারা বললেন, ভাড়া থাকেন মহিলা। পেশায় আইনজীবী। কেউ আবার হুমকি দিলেন, এ পাড়ায় আর থাকতে দেওয়া হবে না।
নাগরিকত্ব আইনের যারা বিরোধিতা করছে, মানুষ ও সরকার তাদের নিরস্ত করবে, আজই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ঘোষণা করেছে প্রকাশ্য সভায়। অমিতও প্রশ্ন ছুড়েছেন: ‘‘নাগরিকত্ব আইনে কী ভুল আছে? দিল্লির জনতাকে প্রশ্ন করতে চাই, এমন সরকার চান যাঁরা সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ান? রাহুলবাবা, প্রিয়ঙ্কা বঢরা, কেজরীবাল জনতাকে বিভ্রান্ত করে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছেন। নরেন্দ্র মোদী ৩৭০ অনুচ্ছেদ, তিন তালাক রদ করছেন।
রাহুলবাবা বিবৃতি দিচ্ছেন, প্রিয়ঙ্কাজিও ময়দানে আসছেন। বলছেন, ওঁরা হিংসা ছড়ানোয় পাশে আছেন!’’
কংগ্রেসের নেতারা জবাবে বলছেন, ‘‘হিংসা ছড়িয়ে ভোট টানার কারখানা এত বছর ধরে কে চালাচ্ছেন, দেশ জানে। কার গুজরাতে প্রবেশের অনুমতি ছিল না? তাঁদের মুখে এ কথা কী শোভা পায়?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy