প্রতীকী ছবি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বদলে কেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) চিন থেকে র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট আমদানি করতে গেল!
চিনা টেস্ট কিটের দামে বড় রকমের গরমিল ধরা পড়ায় বিরোধীদের পাশাপাশি এ বার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রাক্তন আমলারাও এই প্রশ্ন তুললেন। চিন থেকে আনা অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটে পরীক্ষায় ঠিকমতো ফল মিলছিল না। তার পরে তা আইসিএমআর-কে বিক্রির সময়ও ভারতের দুই সংস্থা বিপুল পরিমাণে মুনাফা করেছে বলে জানা যায়। এর পরেই ৫ লক্ষ কিটের বরাত বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় আইসিএমআর।
আজ প্রাক্তন স্বাস্থ্যসচিব কে সুজাতা রাও প্রশ্ন তুলেছেন, “আইসিএমআর কেন কিট কেনার কাজে জড়িয়েছে? স্বাস্থ্য মন্ত্রকে এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের সিদ্ধান্ত বোঝা অসম্ভব। এই অতিমারির সময়ে এ রকম প্রাতিষ্ঠানিক গন্ডগোল হবে কেন!” তাঁর যুক্তি, আইসিএমআর তো এখন চিকিৎসার প্রোটোকল তৈরি, নমুনা পরীক্ষার কৌশল, তথ্য-পরিসংখ্যানের পর্যালোচনায় পুরোপুরি ব্যস্ত থাকবে।
গত কালই আইসিএমআর রাজ্যগুলিকে চিন থেকে আনা অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। দিল্লিতে চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র এর কড়া সমালোচনা করে জানিয়েছেন, চিনের কিটকে ত্রুটিপূর্ণ বলে দেওয়া দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ। চিনা দূতাবাসের বক্তব্য, চিন চিকিৎসা যন্ত্রের মানের বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়। যে দু’টি চিনা সংস্থা এই কিট পাঠিয়েছে এবং তাঁরা আইসিএমআর-এর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে পরিস্থিতি জানার চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: বন্ধুদের ছাড় কেন, প্রশ্ন রাহুলের
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্র বলছে, এই ঘটনার পরে চিন থেকে টেস্টিং কিট আমদানি যে বন্ধ করে দেওয়া হবে, এমন নয়। চিনের দুটি সংস্থাকেও দোষ দিচ্ছেন না স্বাস্থ্য কর্তারা। যে দু’টি সংস্থা ওই কিট আমদানি করে, বিপুল মুনাফা রেখে আইসিএমআর-কে বেচেছিল, চেন্নাইয়ের সেই ম্যাট্রিক্স ল্যাবস ও দিল্লির রেয়ার মেটাবলিক্স-কে কালো তালিকাভুক্ত করা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। আজই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, মে মাসের শেষের দিকে দৈনিক এক লক্ষ পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় আরটি-পিসিআর এবং অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট দেশেই তৈরি হবে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy