প্রতীকী ছবি।
টুইটার কি তা হলে সরকারের ‘দলদাস’-এ পরিণত হল? কৃষক আন্দোলনকে ঘিরে একের পর এক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ায় তা নিয়ে দেশ জুড়ে বিপুল চর্চা হচ্ছে।
দেশে কৃষক আন্দোলন নিয়ে একটা টানটান আবহ তৈরি হয়েছে। দিল্লিতে পরিস্থিতি আরও বেশি থমথমে। কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে সমাজমাধ্যমে নানা রকম মন্তব্য করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে টুইটারকেই অনেকে ‘প্রতিবাদের অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছেন। কৃষক আন্দোলনকে ঘিরে হিংসার ঘটনার পর পরই প্রায় ৫০০ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন টুইটার কর্তৃপক্ষ। সোমবার আরও ২৫০টি অ্যাকাউন্ট সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেন তাঁরা। অভিযোগ, টুইটারকে ব্যবহার করে আন্দোলনে ইন্ধন জোগানো হচ্ছে। অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে সরকারের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ উঠতে শুরু করে। তাদের অঙ্গুলিহেলনেই টুইটার একের পর এক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিচ্ছে। বিশেষ করে যাঁরা এই আন্দোলনের পক্ষে নিজেদের মত ব্যক্ত করছেন।
সোমবার টুইটার যে ১০টি বিশেষ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে তাদের মধ্যে একটা বিষয়ে মিল রয়েছে। ওই গ্রাহকরা আন্দোলনের পক্ষে মত ব্যক্ত করেছেন এবং যা সরকারের অবস্থানের বিরুদ্ধে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা নতুন কোনও বিষয় নয়। যখনই সরকারের বিরুদ্ধমত প্রকাশ করা হয়েছে এই সমাজমাধ্যমকে ব্যবহার করে, তখনই তাঁদের অ্যাকাউন্ট পাকাপাকি ভাবে বন্ধ করা হয়েছে, নচেৎ সাময়িক ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে টুইটার। তবে কেন এই অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করা হল, কত অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে তারা, সে সম্পর্কে কোনও তথ্যই প্রকাশ করেনি টুইটার। সোমবারই অভিযোগ ওঠে, কিসান একতা মোর্চা, ডেরা সাচ্চা সৌদা, দ্য ক্যারাভান ইন্ডিয়া, বিকেইউএকতা উগ্রহণ, হংসরাজ মীনা, ট্র্যাক্টর ২ টুইটার— এ রকম বহু অ্যাকাউন্ট আটকে দেওয়া হয়েছে। পরে আবার অনেক অ্যাকাউন্ট খুলেও দেওয়া হয়। কেন এমন করল টুইটার, কেনই বা অ্যাকাউন্ট আটকাল, আবার কেন হঠাৎ করে তা তুলে নিল গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন এই সমাজমাধ্যম কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy