—প্রতীকী ছবি।
কলা শাখার স্নাতক হলে বিএ, বাণিজ্য শাখার স্নাতক হলে বি-কম, বিজ্ঞানের স্নাতক ডিগ্রি পেলে বিএসসি। আর স্নাতকোত্তর ডিগ্রির ক্ষেত্রে ‘বি’ বর্ণটির জায়গায় বসানো হত ‘এম’। এমএ, এমকম, এমএসসি। বিভিন্ন শাখার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ডিগ্রির নামেই এত দিন তাঁদের অধীত বিষয়ের সুস্পষ্ট পরিচয়ের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু নতুন বন্দোবস্তে কলা হোক বা বাণিজ্য কিংবা বিজ্ঞান— স্নাতক (অনার্স) ও স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স)-এ সবই কি বিজ্ঞানের ডিগ্রি হিসেবে গণ্য হবে?
জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারী ‘কারিকুলাম অ্যান্ড ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক’-এ বিভিন্ন ডিগ্রির নামের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির যে-প্রস্তাব প্রকাশ করা হয়েছে, তা দেখে এই প্রশ্নই তোলা হচ্ছে শিক্ষা শিবির-সহ বিভিন্ন মহলে।
ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কলা, বিজ্ঞান, বাণিজ্য, ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানেজমেন্ট, সমাজবিজ্ঞান, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-সহ যে-কোনও বিভাগে চার বছর পড়ে যে-অনার্স ডিগ্রি পাওয়া যাবে, তার প্রত্যেকটিকেই ‘ব্যাচেলর অব সায়েন্স’ (বিএস) ডিগ্রি বলা যেতে পারে। একই ভাবে সব বিভাগে পড়েই স্নাতকোত্তরে ‘মাস্টার অব সায়েন্স’ (এমএস) ডিগ্রি পাওয়া যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার ওই প্রস্তাবপত্র প্রকাশ করেছে ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। চার বছরের অনার্স ডিগ্রি পড়তে গিয়ে যাঁরা শেষ বছরে গবেষণা করবেন, তাঁদের অনার্সের সঙ্গে ‘উইথ রিসার্চ’ কথাটি থাকবে বলে ওই প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন ‘বিএ অনার্স উইথ রিসার্চ’। বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতেই এটা প্রয়োজন।
সেই সঙ্গে বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রস্তাব, এক বছর কেউ স্নাতক স্তরে পড়লে তিনি পাবেন সার্টিফিকেট, দু’বছর পড়লে ডিপ্লোমা, তিন বছর থেকে ডিগ্রি পাবেন। এর পাশাপাশি বর্তমানে যাঁরা তিন বছরের অনার্স পড়ছেন, তাঁদের ডিগ্রিকে অনার্স ডিগ্রি বলেই ধরা হবে। এই সব বিষয় বাস্তবায়িত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একটি স্ট্যান্ডিং কমিটি তৈরির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy