নভি মুম্বইয়ে একটি জমির উপর অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের নগর পরিকল্পনা সংস্থা সিডকোকে ভর্ৎসনা করল বম্বে হাই কোর্ট। উচ্চ আদালতের প্রশ্ন, রাজ্যে কি আইনের শাসন চলছে, নাকি পেশিশক্তিরই জয়জয়কার?
চলতি মাসের শুরুতে বিচারপতি এএস গডকরী এবং বিচারপতি কামালের ডিভিশন বেঞ্চ রায়ে জানায়, নগর ও শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন (সিডকো) কর্তৃপক্ষ অননুমোদিত নির্মাণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী নয়। যদিও সিডকোর যুক্তি, যখন তারা অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেছিল, তখন বোকাদভিরা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান তাদের হুমকি দিয়েছিলেন। এর পরেই রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে বেঞ্চ বলে যে, আধিকারিকেরা তাঁদের দায়িত্ব পালনের সময় প্রয়োজনে পর্যাপ্ত পুলিশি সুরক্ষা পাওয়ার অধিকারী। এর পরিবর্তে যে কোনও ধরনের অবৈধ কাজ প্রতিরোধ করা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করাই তাঁদের কর্তব্য।
আরও পড়ুন:
২০১৬ সালে এক দম্পতির দায়ের করা মামলার শুনানিতেই এমন রায় দিয়েছে আদালত, যেখানে নভি মুম্বইয়ে দীপক পাটিল নামে এক ব্যক্তির জমিতে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার জন্য সিডকোকে নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। অভিযোগ, আবেদনকারীদের মালিকানাধীন ১২৩ বর্গমিটার জমির উপর অবৈধ ভাবে একটি দোকান তৈরি করা হয়েছিল। তবে ওই অবৈধ নির্মাণ নিয়ে কোনও রকম পদক্ষেপ করতে গেলে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল সিডকোর আধিকারিকদের। হাই কোর্টের যুক্তি, সিডকোর আধিকারিকেরা তাঁদের আইনানুগ দায়িত্বই পালন করছেন। তা ছাড়া, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পঞ্চায়েত প্রধানের এমন হুমকি মেনে নেওয়া যায় না। উচ্চ আদালতে দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলে, ‘‘আমরা বুঝতে পারছি না যে, আমরা যে রাজ্যে বাস করি সেখানে আইনের শাসন বিরাজ করে নাকি পেশিশক্তির শাসন?’’ এর পরেই সিডকোকে এক সপ্তাহের মধ্যে আবেদনকারীদের জমিতে নির্মিত অবৈধ কাঠামোটি অপসারণের নির্দেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি, নভি মুম্বই পুলিশ কমিশনারকে সিডকোর কর্মকর্তাদের পর্যাপ্ত পুলিশি সুরক্ষা প্রদানের নির্দেশও দিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ।