প্রতীকী ছবি।
গত দু’দশকে কার্যত যাদের নামই শোনা যায়নি এমন এক বাঙালি জঙ্গি সংগঠনের ৩০১ জন ‘জঙ্গি’ অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের সামনে অস্ত্র জমা করে আত্মসমর্পণ করল! ‘ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ বেঙ্গলি’ নামে এই সংগঠনের তিন শতাধিক সদস্য, হাতে ৭৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩১টি গ্রেনেড, গুলি, প্রায় দু’কেজি বিস্ফোরক নিয়ে কোথা থেকে, কী ভাবে হাজির হল, তা নিয়ে নীরব পুলিশ। তবে আলফা নেতা পরেশ বরুয়ার দাবি, ‘‘সবটাই সাজানো নাটক।’’
তবে পুলিশ সূত্রের খবর, বাঙালিদের উপরে বিভিন্ন হামলার প্রতিবাদে ৯০-এর দশকে সংগঠনটি তৈরি হয়। তবে সক্রিয় ছিল না। সংগঠনের সভাপতি অমর পালের দাবি, “আমাদের সদর দফতর ছিল বাক্সা জেলায়। ২০১৪ সাল থেকে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। নাগরিকত্ব নিয়ে, ডি-ভোটার নোটিস পাঠিয়ে ও বিভিন্ন ভাবে বাঙালিদের উপরে যে হেনস্থা চলছে তার প্রতিকার করা, বাঙালিদের স্যাটেলাইট কাউন্সিল গড়ার দাবি তুলেছিলাম আমরা। মুখ্যমন্ত্রী বাঙালিদের হেনস্থা বনধ করার আশ্বাস দিয়েছেন।’’ তিনি বলেন, “বাঙালিদের স্বার্থরক্ষায় আমরা বরাবরই সিএএ-র পক্ষে আছি, থাকব।” আজ সকালে গুয়াহাটির এই আত্মসমর্পণ পর্বে মোট ৮টি জঙ্গি সংগঠনের মোট ৬৪৪ জন জঙ্গি সোনোয়ালের সামনে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করল।
আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে রয়েছে আদিবাসী ড্রাগন ফাইটারের ১৭৮ জন, ন্যাশনাল সান্থাল লিবারেশন আর্মির ৮৭ জন, আলফা (স্বাধীন)-এর ৫০ জন, রাভা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের ১৩ জন, এনডিএফবি (সাওরাইগাওড়া) গোষ্ঠীর ৮ জন, কেএলওর ৬ ও এক মাওবাদী জঙ্গি। জমা পড়া অস্ত্রের সংখ্যা ১৭৭। তার মধ্যে রয়েছে ১৬টি একে সিরিজের রাইফেল, তিনটি রকেট লঞ্চার, ৫২টি গ্রেনেড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy