খলিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংহের খোঁজে পঞ্জাব জুড়ে অভিযান পুলিশের। — ফাইল ছবি।
কোথায় গেলেন খলিস্তানপন্থী স্বঘোষিত শিখ ধর্মগুরু অমৃতপাল সিংহ? পঞ্জাবের সাত জেলার পুলিশ মরিয়া হয়ে খুঁজছে অমৃতপালকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত খোঁজ নেই তাঁর। যদিও জালন্ধরের সিপির দাবি, খুব দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে অমৃতপালকে। ইতিমধ্যেই অমৃতপালের একাধিক অনুচরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র। অমৃতপালের ব্যবহার করা কয়েকটি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কিন্তু খোঁজ নেই অমৃতপালের।
অমৃতপালের গ্রেফতারি ঘিরে সমস্যা তৈরি হতে পারে। এই আশঙ্কায় শনিবার দুপুর থেকেই গোটা পঞ্জাবে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন। কথা ছিল, রবিবার দুপুরে তা আবার চালু করা হবে। পঞ্জাব পুলিশ এবং কেন্দ্রের কর্তারা ভেবেছিলেন, তার মধ্যেই গ্রেফতার করে ফেলা যাবে অমৃতপালকে। কিন্তু শনিবার পুলিশ অমৃতপালের নাগাল পায়নি। এই অবস্থায় পঞ্জাবে সোমবার দুপুর পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে নতুন ঘোষণা হয়েছে। রবিবার সাংবাদিকদের সামনে যদিও জালন্ধরের সিপির দাবি, অতি দ্রুত গ্রেফতার করা হবে তাঁকে। গোটা রাজ্যে অমৃতপালের খোঁজে ছড়িয়ে পড়েছেন পুলিশকর্মীরা।
Internet services suspended till 12 noon today#AmritpalSingh pic.twitter.com/IJwAOL30SZ
— Manpreet_Singh (@_Singh_KMR) March 19, 2023
সূত্রের খবর, শনিবার দুপুরে অমৃতপালকে প্রায় নাগালে পেয়ে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু মোটরবাইকে চেপে তিনি পালান। পুলিশ সূত্রে খবর, এক বার পালাতে সক্ষম হলেও বেশি দিন গ্রেফতারি এড়াতে পারবেন না অমৃতপাল। পঞ্জাব থেকে তাঁর পক্ষে বাইরে পালানোও অসম্ভব। এতই যদি বজ্র আঁটুনি থাকে তাহলে তাঁকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না কেন? এই প্রশ্ন উঠছে।
জালন্ধরের সিপি কুলদীপ সিংহ চহল বলেন, ‘‘আমরা ওয়ারিস পঞ্জাব দে সংগঠনের ৭৮ জনকে গ্রেফতার করেছি। এ ছাড়াও বহু মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছে। অমৃতপালের নিরাপত্তায় যুক্ত সাত-আট জন বন্দুকধারীকেও গ্রেফতার করেছি।’’ সূত্রের খবর, হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে অমৃতপালের ঘনিষ্ঠ দলজিৎ সিংহ কলসিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খলিস্তানি নেতার হয়ে টাকাপয়সার দিকটি তিনি দেখভাল করতেন।
এ দিকে খবর পাওয়া যাচ্ছে, অমৃতপালের সংগঠনের চার সদস্যকে গ্রেফতার করে পঞ্জাব পুলিশ অসমের ডিব্রুগড়ে নিয়ে গিয়েছে। সেখানে ডিব্রুগড় সেন্ট্রাল জেলে রাখা হয়েছে তাঁদের। কিন্তু পঞ্জাবে গ্রেফতারির পর কেন তাঁদের অসমে নিয়ে যাওয়া হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে ডিব্রুগড়ের পুলিশ সাংবাদিক বৈঠক করতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy