ছবি: পিটিআই।
প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না রাজধানীর বায়ুদূষণ। বরং আরও ধূসর হচ্ছে সে ছবি। রাজধানীর বায়ুদূষণের পিছনে নানা কারণের পাশাপাশি কাঠগড়ায় উঠেছে পড়শি রাজ্যের খড়কুটো পোড়ানোর অভ্যাসও। তাতেই নাকি দূষণের ছবিটা আরও জটিল হচ্ছে।
গত চার দিন ধরেই দিল্লির বায়ুমানের সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স (একিউএল)-এর নিম্নগতি অব্যাহত। বিশেষজ্ঞদের মতে, রবিবার বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে (একিউএল)-এর কাঁটা দাঁড়াতে পারে ২৫৬-তে। সিস্টেম অব এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ (এসএএফএআর) –এর আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার এবং শনিবার দিল্লির একিউএল ছিল যথাক্রমে ২০৮ ও ২২২। তাঁদের আশঙ্কা, চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে দিল্লিতে বায়ুদূষণের মাত্রা আরও বাড়তে পারে। এসএএফএআর আরও জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই দিল্লির আনন্দবিহার ও ওয়াজিরপুর এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা অত্যন্ত শোচনীয়। সেখানকার একিউএল ছুঁয়েছে ৩০০-তে।
আরও পড়ুন: ক্ষত নোটবন্দি, জিএসটি, আর্থিক বৃদ্ধির হার নামতে পারে ৬ শতাংশে, বলছে বিশ্বব্যাঙ্ক
মূলত কী কারণে দিল্লির বায়ুদূষণের পরিস্থিতি বেহাল হচ্ছে? বিশেষজ্ঞদের মতে, শষ্য কাটার পর চাষের জমিতে যে খড়কুটো পড়ে থাকে, তা পুড়িয়ে ফেলায় দূষিত হচ্ছে রাজধানীর বাতাস। ২০১৫ থেকেই রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব এবং হরিয়ানায় খড়কুটো পোড়ানো নিষিদ্ধ করেছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। তবে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তাতে রাশ টানা যাচ্ছে না। গত বছর পঞ্জাব ও হরিয়ানায় এ ধরনের ১২০টির ও বেশি ঘটনা ধরা পড়েছে নাসা-র প্রকাশিত ছবিতে। এর ফলে সরাসরি প্রভাব পড়ছে রাজধানীতে। কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার (সিইইডব্লিউ)-এর গবেষক এল এস কুরিঞ্জি বলেন, ‘‘গত দু’দিন ধরেই পঞ্জাব ও হরিয়ানায় খড়কুটো পোড়ানোর ঘটনা অত্যধিক বেড়ে গিয়েছে। পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে তার ধোঁয়া দিল্লিতে দিকে গিয়ে তা রাজধানীর বায়ুকে আরও দূষিত করছে।’’ তাঁর মতে, এতে দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রা আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: শুধু সাইকোপ্যাথই নন, সম্পত্তি দখলের লক্ষ্যেই ছ’টি খুন করেছিল জলি, তদন্তে নেমে বলছে পুলিশ
তবে গত জুলাই ও সেপ্টেম্বরে বর্ষার কারণে রাজধানীর বায়ুদূষণের অবস্থা এতটা বেহাল ছিল না। উল্টে তা ‘সন্তোষজনক’ বলেই আখ্যা দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু, তিন মাসে এই প্রথম রাজধানীর বায়ুদূষণের পরিস্থিত শোচনীয়।
২০২০-তে দিল্লিতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বড়সড় ভূমিকা নিতে পারে বায়ুদূষণের বিষয়টি। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে তরজা শুরু হয়ে গিয়ে অরবিন্দ কেজরীবাল সরকার ও কেন্দ্রের বিজেপির সরকারের মধ্যে। রাজধানীতে জোড়-বিজোড় পরিবহণ নীতি নিয়ে বায়ুদূষণ কব্জা করার দাবি করেছে আপ সরকার। কেজরীবালের দাবি, ওই নীতির জন্যই তাঁর সরকারের আমলে গত তিন বছরে দিল্লিতে দূষণের মাত্রা ২৫ শতাংশ কমানো গিয়েছে। অন্য দিকে, গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছেন, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ ও তা নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ নিয়ন্ত্রক বোর্ড ইতিমধ্যেই ৪৬ দল গঠন করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy