Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Drink and Drive

মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে ধৃত, ট্রাফিক পুলিশকে দোষারোপ করে নিজেকে শেষ করলেন পুণের তরুণ

মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে ট্রাফিক পুলিশের হাতে ধরা পড়েন ২৪ বছরের যুবক মণীশ উত্তেকর। তিনি পুলিশের কাছে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু পুলিশ মামলা রুজু করে আইন মেনে।

representational image

— প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
পুণে শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৩ ১৪:৫৫
Share: Save:

মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে ট্রাফিক পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন। কাকুতি মিনতি করেছিলেন, ‘ছেড়ে দেওয়ার’ জন্য। কিন্তু পুলিশ ছাড়েনি। মামলা রুজু হয়েছিল নিয়ম মেনেই। সেই ‘অপমানের’ জেরে নিজেকে শেষ করে দিলেন মহারাষ্ট্রের পুণের ২৪ বছরের যুবক। সুইসাইড নোটে তিনি দোষারোপ করেছেন ট্রাফিক পুলিশকে। যদিও পুলিশ চাপ দেওয়ার অভিযোগই অস্বীকার করেছে।

২৪ বছরের যুবক মণীশ উত্তেকর। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি। পুণের ওয়াগল এস্টেট এলাকার বাসিন্দা মণীশ সম্প্রতি মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। পুলিশ নিয়ম মেনে তাঁর বিরুদ্ধে মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর মামলা রুজু করে। মণীশ সেই সময় পুলিশের কাছে কাকুতি মিনতি করেছিলেন যেন তাঁকে এ যাত্রায় ‘ছেড়ে দেওয়া’ হয়। বলেছিলেন, পুলিশ মামলা করলে প্রভাব পড়বে তাঁর পেশাগত জীবনে। কিন্তু মণীশের কথা না শুনে আইন মেনে পদক্ষেপ করে পুলিশ। তাতে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন মণীশ।

শুক্রবার রাতে চরম সিদ্ধান্ত নেন মণীশ। পরে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট। সেখানে নিজেকে শেষ করার কারণ হিসাবে ট্রাফিক পুলিশকেই দোষারোপ করেছেন মণীশ। পুষ্পক এবং সুধাকর নামে দুই ট্রাফিক পুলিশকর্মীর নামও তিনি সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছেন। যদিও ট্রাফিক পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন, এই নামে কেউ ট্রাফিকে কাজ করে না।

ডিসিপি বিনয় রাঠৌর বলেন, ‘‘মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে ধরা পড়লে পুলিশের হাতে কিছু থাকে না। মামলা রুজু করে অবশ্যই আদালতে পাঠাতে হয়। তাই ফাইন নিয়ে চালককে মুক্তি দেওয়ার প্রশ্ন নেই।’’

পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে। সত্যিই ট্রাফিক আইন ভাঙার কারণে তিনি চরম সিদ্ধান্ত নিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE