—ফাইল চিত্র।
পার হয়ে গিয়েছে প্রায় এক বছর। পুলওয়ামায় আধাসেনার উপরে হামলার ঘটনার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের পরে কিছুটা হলেও বদলেছে পরিস্থিতি। আবার জঙ্গি যোগের অভিযোগে গ্রেফতার জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের অফিসার দেবেন্দ্র সিংহ পুলওয়ামায় উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন, পুলওয়ামার পিছনে পাকিস্তান ছাড়া অন্য শক্তি আছে কি না।
পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ে হামলাকারী জঙ্গি আদিল দারের বাবা হাসান দারের অবশ্য দাবি, ‘‘আদিল কবে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছিল তা জানতাম না। দেবেন্দ্রের কথাও আমি কিছু জানি না।’’
গত বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ে বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে হামলা চালিয়েছি গুন্ডবাল গ্রামের যুবক আদিল। ঘটনার কিছু ক্ষণ পরেই পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মহম্মদের তরফে আদিলের ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়।
এখন আদিলের বাড়িতে পুলিশ-সেনার আনাগোনা নেই। এ দিন হাসান ফোনে বললেন, ‘‘আমি জানি ছেলে মারা গেলে মনের অবস্থা কী হয়। তাই নিহত জওয়ানদের পরিবারের কথা ভেবে সব সময়েই দুঃখ পাই। কাশ্মীর সমস্যার সমাধান না হলে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধও হতে পারে।’’
আরও পড়ুন: সরকারি ওয়েবসাইট থেকে গায়েব অসম এনআরসি-র তথ্য, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ কংগ্রেসের
হাসানের দাবি, ‘‘স্কুল থেকে ফেরার সময়ে এক বার জওয়ানেরা আদিলকে মারধর করেছিল। তার পর থেকেই ভারতীয় বাহিনীর উপরে ওর মনে আক্রোশ জন্মায়।’’ তাঁর দাবি, আদিল দিনমজুরের কাজ করত। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে এক দিন কাজ থেকে আর বাড়ি ফেরেনি সে। বললেন, ‘‘তিন মাস ধরে ওকে খুঁজেছিলাম আমরা।’’
আদিলের পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও জঙ্গি দলে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। জানুয়ারি মাসে জম্মু থেকে কাশ্মীরে তিন জঙ্গিকে নিয়ে আসার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হয় সামির দার। সে আদিলের সম্পর্কিত ভাই। পুলওয়ামা হামলার আগেই বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় আদিলের আর এক সম্পর্কিত ভাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy