পুলিৎজ়ার জয়ী কাশ্মীরি চিত্র সাংবাদিক সানা ইরশাদ মাট্টুকে আমেরিকা যেতে বাধা দেওয়া হল। দিল্লি বিমানবন্দরে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যার জেরে সমাজমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।
সানা জানিয়েছেন, তিনি পুলিৎজ়ার পুরস্কার নিতে নিউ ইয়র্ক যাচ্ছিলেন। দিল্লি বিমানবন্দরের অভিবাসন দফতর তাঁকে বাধা দিয়েছে। টুইটারে কাশ্মীরি সাংবাদিক লিখেছেন, ‘‘আমি পুলিৎজ়ার পুরস্কার নিতে নিউ ইয়র্ক যাচ্ছিলাম। কিন্তু দিল্লি বিমানবন্দরের অভিবাসন দফতর আমাকে বাধা দিয়েছে। আমাকে দেশের বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আমার কাছে আমেরিকা যাওয়ার টিকিট এবং ভিসা, দুই-ই রয়েছে।’’ বাতিল হওয়া বোর্ডিং পাসের ছবিও টুইটারে পোস্ট করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
I was on my way to receive the Pulitzer award ( @Pulitzerprizes) in New York but I was stopped at immigration at Delhi airport and barred from traveling internationally despite holding a valid US visa and ticket. pic.twitter.com/btGPiLlasK
— Sanna Irshad Mattoo (@mattoosanna) October 18, 2022
This is the second time I have been stopped without reason or cause. Despite reaching out to several officials after what happened few months ago but I never received ay response.
— Sanna Irshad Mattoo (@mattoosanna) October 18, 2022
Being able to attend the award ceremony was a once in a lifetime opportunity for me.
বস্তুত, এই প্রথম নয়। এর আগেও এক বার সানাকে বিদেশ যেতে বাধা দেওয়া হয়েছিল দিল্লি বিমানবন্দরে। একটি বই প্রকাশ এবং চিত্র প্রদর্শনীতে যোগ দিতে প্যারিস যাচ্ছিলেন তিনি। তখন তাঁকে একই ভাবে আটকানো হয়েছিল। সে কথাও টুইটে জানিয়েছেন সানা। তিনি লিখেছেন, ‘‘এই নিয়ে আমাকে দ্বিতীয় বার আটকানো হল, কোনও কারণ ছাড়াই। প্রথম বার যা হয়েছিল, তার পর আমি অনেক আধিকারিকের কাছে প্রশ্ন করেছিলাম। কিন্তু কেউ আমাকে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।’’ নিউ ইয়র্কের এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারার মতো সুযেগ জীবনে এক বারই আসে, জানান সানা।
সানা একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার চিত্র সাংবাদিক। ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ছবি তুলে ২০২২ সালে পুলিৎজ়ার পান তিনি। ৯ এপ্রিল পুলিৎজ়ার জয়ী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। সেই পুরস্কার গ্রহণ করতেই নিউ ইয়র্ক যাচ্ছিলেন তিনি।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, কাশ্মীরের কয়েক জন সাংবাদিকের বিদেশ যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। সেই তালিকাতে সানার নামও রয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খোলেননি। সানার অভিযোগ, কোনও কারণ ছাড়াই তাঁকে বার বার আটকানো হচ্ছে।