দিল্লি সীমানায় প্রতিবাদে বসে কৃষকরা। ছবি—পিটিআই।
মহাত্মা গাঁধীর ৭৩তম মৃত্যুদিবসে দিনভর অনশন রেখে ‘সদভাবনা দিবস’ পালন করবেন দিল্লি সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকরা। হরিয়ানা ও পঞ্জাব থেকে আরও কৃষক আন্দোলনে যোগ দেবেন বলে দাবিও করেছেন তাঁরা। দু’মাস ধরে আন্দোলনের পর লালকেল্লায় হিংসার ঘটনায় কিছুটা দাগ লেগেছিল আন্দোলনের গায়ে। তা ঝেড়ে ফেলে গাঁধীর দেখানো পথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে হাতিয়ার করার চেষ্টা করছেন কৃষক নেতারা।
সেপ্টেম্বরে নয়া ৩ কৃষি আইন পাশের পর শুরু হওয়া আন্দোলনের ধরন যে শান্তিপূর্ণই ছিল তা বোঝাতেই এই অনশন বলে দাবি করেছেন কৃষক নেতারা। সকাল ৯ থেকে শুরু হওয়া এই অনশন চলবে বিকাল ৫টা অবধি। ক্রান্তিকারি কিসান ইউনিয়নের নেতা দর্শন পাল শুক্রবার বলেছেন, “আমরা শান্তির পক্ষেই ছিলাম, আজও তা-ই আছি, আগামী দিনেও থাকব। আমি দেশের সমস্ত মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছি আমাদের শান্তপূর্ণ প্রতিবাদে যোগ দিতে।’’
প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্র্যাক্টর মিছিল বেরনোর পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটেছে। সরকার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে নষ্ট করতে চাইছে— এই অভিযোগও করছেন নেতারা। তাই দিল্লির বুকে আরও কৃষক যোগ দিলেই আন্দোলনের শক্তি বাড়বে বলে দাবি করছে কৃষক সংগঠনগুলি। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের সংযত থাকার আবেদন বারবার করছেন নেতারা।
গাজিপুর সীমানায় আন্দোলনে বসেছেন ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত। বৃহস্পতিবার রাতে কান্নাভেজা গলায় তাঁর সাংবাদিক সম্মেলন শুক্রবার দিন গড়াতেই বদলে দিয়েছিল গাজিপুরের চেহারা। ভেস্তে যাওয়া আন্দোলন ফিরে পেয়েছে নতুন উদ্যম। শুক্রবার মুজফ্ফরপুরে বসেছিল ‘কিসান মহাপঞ্চায়েত’। সেখান থেকে বহু কৃষক শনিবার গাজিপুরের উদ্দেশে রওনা দেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy