কৃষকদের ভিড় সভায়। ছবি: পিটিআই
ফের দিল্লি যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন কৃষকরা। গাজিপুর সীমানায় জড়ো হয়ে শনিবার থেকে দিল্লি অভিযানের আহ্বান জানালেন তাঁরা। মুজফ্ফরনগরে আয়োজিত কৃষক মহাপঞ্চায়েতে দিল্লি যাওয়ার আওয়াজ উঠল। আপ নেতা সঞ্জয় সিংহ বললেন, দিল্লি সরকার কৃষকদের পাশে আছে। দিল্লিতে খাবার, জল, কিছুর অভাব হবে না তাঁদের। কৃষক আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে টুইট করল তৃণমূলও। লেখা হল, ‘বিজেপি কৃষকদের যে ভাবে ভয় দেখাচ্ছে আমরা তার কঠোর সমালোচনা করছি। দেশের কৃষকদের চোখে যখন জল, তখন বিজেপি সরকার আন্দোলন স্থলের বিদ্যুৎ পরিষেবা কেটে দিচ্ছে, রাস্তা বন্ধ করছে, সিসিটিভি নষ্ট করার চক্রান্ত করছে’। টুইটে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করিয়েছে।
বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার কৃষক আন্দোলনের চেহারাটা একেবারেই আলাদা। হতাশার গ্রাস থেকে বেরিয়ে এসে যেন নতুন উদ্যমে ফুটছেন কৃষকরা। সংবাদ সংস্থার খবর অনুসারে শুধু গাজিপুর সীমানায় এখনও পর্যন্ত জড়ো হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কৃষক। সেখানে আন্দোলনের আওয়াজ আরও জোরদার হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেছেন, ‘‘মাত্র ৪০ সেকেন্ড লেগেছে কৃষক আন্দোলনকে ফের জাগরিত করতে। বৃহস্পতিবার রাতে গাজিপুর সীমানায় যা অবস্থা হয়েছিল, তা দিল্লির হিংসাত্মক ঘটনার থেকেও মারাত্মক’। টুইটারে রাকেশ টিকায়েত লিখেছেন, ‘সকলে বলেন সত্যের কখনও পরাজয় হয় না। কিন্তু সত্যি সবসময় জয় পায়? সত্য অর্জন করার পরেও অসত্য কখনও কখনও তা চাপা দিয়ে দেয়, আমি নিজে দেখেছি’।
অন্য দিকে হাজার হাজার কৃষক শুক্রবার মুজফ্ফরনগরে আয়োজিত কিসান মহাপঞ্চায়েতে অংশ নেন। সেখানে বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি দিল্লির শাসক দল আপ-এর প্রতিনিধিরাও ছিলেন। সিদ্ধান্ত হয়, শুক্রবার গাজিপুর সীমানা থেকে কৃষকরা ফের দিল্লিতে ঢুকবেন। আপ নেতা সঞ্জয় সিংহ দিল্লিতে আন্দোলন সরিয়ে নিয়ে যেতে বলেন, কারণ সেখানে জল, খাবার, ইত্যাদি কোনও কিছুর অভাব হবে না।
শুক্রবার রাকেশ টিকায়েতের ফেসবুক লাইভ দেখে রাতেই হরিয়ানার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষকরা এসে জড়ো হয়েছিলেন গাজিপুর সীমান্তে। শুক্রবার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেই হরিয়ানার ১৭টি জেলাতেই ৩০ জানুয়ারি বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনটি কৃষি আইন নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা ও সাংসদ রাহুল গাঁধী। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা সবাই জানি কী চলছে। প্রথমে কৃষকদের মারা হয়েছে, তারপর ভয় দেখানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy