—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আগামিকাল সকাল সাড়ে দশটায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের আদালতে আর জি কর মামলার শুনানি রয়েছে। এর আগের শুনানিতে চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু রাজ্য তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়ে কাজে যোগ দেননি বলে শীর্ষ আদালতকে জানাতে চলেছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা।
গত সোমবার আর জি কর মামলার শেষ শুনানি হয়েছিল। তাতে রাজ্য সরকারকে আর জি কর-সহ রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
বিশেষত আর জি করের নিরাপত্তার প্রশ্নে সিআইএসএফ-এর যা প্রয়োজন তাও রাজ্য সরকারকে দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি গত সপ্তাহের শুনানিতে বড় রকমের অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কোনও মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানোর সময়ে যে নথি বা চালান সঙ্গে থাকে তা এ ক্ষেত্রে পাওয়া যায়নি। সিবিআই আদালতকে জানিয়েছিল, কলকাতা পুলিশ তাদের যে নথি দিয়েছে তাতে ওই চালান ছিল না। আগামিকাল ওই নথি আদালতে জমা দেওয়ার কথা রাজ্য সরকারের।
আর জি কর কাণ্ডের তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে কাল মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা সিবিআইয়ের। সূত্রের মতে, সিবিআই যে তদন্তের ক্ষেত্রে নতুন তথ্য পেয়েছে তা ওই রিপোর্টে থাকতে পারে। যাতে টালা থানার ওসি-কে গ্রেফতারের পাশাপাশি আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ধর্ষণ ও খুন মামলায় গ্রেফতারের উল্লেখ থাকার কথা। অন্য দিকে আন্দোলন থামাতে রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না, এমন অভিযোগ যাতে না ওঠে সেই লক্ষ্যে গত এক সপ্তাহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে যে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়টিও শীর্ষ আদালতকে পাল্টা জানানোর কথা রাজ্য সরকারের আইনজীবীদের। বিশেষত শুনানির আগের সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের বৈঠকে অচলাবস্থা কাটাতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তার কথাও আদালতকে জানাবেন রাজ্যের আইনজীবীদের।
গত সোমবারের শুনানিতে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে বলেছিল শীর্ষ আদালত। বলা হয়, ওই সময়ের মধ্যে চিকিৎসকেরা কাজে যোগ দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যদিও পরের দিন কাজে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। আজ দিল্লিতে আন্দোলনকারী চিকিৎসদের পক্ষে সওয়াল করে সাংবাদিক বৈঠক করে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। সংগঠনের পক্ষ থেকে চিকিৎসক দীপায়ন বিশ্বাস জানান, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও চিকিৎসকেরা এখনও সুরক্ষিত নন। গত কয়েক দিনে রাজ্যের একাধিক স্থানে চিকিৎসকেরা আক্রান্ত হয়েছেন।’’
আজ দিল্লিতে সিনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন ইউনাইটেড ডক্টরস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। সংগঠনের সদস্য চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘চিকিৎসকদের আন্দোলনের ফলে যে সংখ্যক রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন বলে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে তথ্য দিয়েছে তা সঠিক নয়। রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে ওই পরিসংখ্যান কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। কারণ রাজ্যে সরকারের স্বাস্থ্য পোর্টাল কিন্তু অন্য সংখ্যা বলছে। তা ছাড়া পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের এই সময়ে যে সংখ্যক মৃত্যু হয়েছিল তার চেয়ে কম লোক চলতি বছরে মারা গিয়েছেন।’’
সংগঠনের পক্ষ থেকে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল ভেঙে দিয়ে সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া-সহ মোট সাত দফা দাবি জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy