শ্রীনগরের বিমানে রাহুল গাঁধীর কাছে ক্ষোভ জানাচ্ছেন কাশ্মীরি মহিলা। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া
এ সব আর কত দিন চলবে? জাতীয়তাবাদের নামে কত দিন মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখা হবে?
রাহুল গাঁধী-সহ বিরোধী দলের নেতাদের কাশ্মীর উপত্যকায় ঢুকতে না দেওয়ায় নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে এই প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। গত কাল রাতে টুইটারে প্রিয়ঙ্কা লিখেছেন, ‘‘কাশ্মীরে যে ভাবে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে, তার থেকে বেশি ‘রাজনীতি’ আর ‘দেশবিরোধী কাজ’ হতে পারে না।’’ গত কাল শ্রীনগরের বিমানে এক কাশ্মীরি মহিলা রাহুলের কাছে এসে উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রবল ক্ষোভ জানান। সেই ঘটনার ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন প্রিয়ঙ্কা। ওই মহিলা বিরোধী নেতা ও সাংবাদিকদের সামনে জানান, এই মুহূর্তে কাশ্মীরে চরম বিপদের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের। রাহুলকে তিনি বলেন, ‘‘আমার ছেলেমেয়েরা ঘরের বাইরে বেরোতে পারছে না। আমার ভাই হৃদরোগাক্রান্ত। ১০ দিন যাবৎ তাঁকে ডাক্তার পর্যন্ত দেখাতে পারিনি। আমরা খুবই বিপদের মধ্যে রয়েছি।’’ কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই মহিলা। রাহুল তাঁকে সান্ত্বনা দেন।
টুইটারে প্রিয়ঙ্কার মন্তব্য, ‘‘জাতীয়তাবাদের নামে যে লক্ষ লক্ষ মানুষের মুখ বন্ধ করা হয়েছে এবং দমিয়ে রাখা হয়েছে, এই মহিলা তাঁদের এক জন।’’ যাঁরা বিরোধীদের দিকে ‘রাজনীতি’ করার অভিযোগ আনেন, তাঁদের উদ্দেশে তিনি এ সব কথা বলছেন বলেই জানিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। নরেন্দ্র মোদী সরকার কাশ্মীরে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, তার বিরুদ্ধে ‘সকলের আওয়াজ তোলা উচিত’ বলেই মনে করেন কংগ্রেস নেত্রী। কংগ্রেস সেই কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কাশ্মীরে ঢুকতে না পেরে রাহুল-সহ বিরোধী নেতারাও বিবৃতি দিয়ে সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, যে কারণ দেখিয়ে সরকার তাঁদের উপত্যকায় ঢুকতে দেয়নি, তা ভিত্তিহীন। কাশ্মীরের স্বাভাবিক পরিস্থিতি দেখতে যাওয়ার জন্য রাজ্যপাল তাঁদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁরা জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের মানুষের পাশে থাকতে চেয়েছিলেন। শান্তি ফেরানো আর মানবিকতার কথা ভেবেই কাশ্মীরে যেতে চেয়েছিলেন। তবে সরকার যে কথা বলে আটক করেছে, তাতে তাঁদের মৌলিক অধিকার খর্ব হয়েছে। যা অসাংবিধানিক। বিবৃতিতে সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী, সিপিআইয়ের ডি রাজারা সই করেছেন। সঙ্গে আরজেডি, এনসিপি, ডিএমকের প্রতিনিধিরাও।
সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকা একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, শ্রীনগর বিমানবন্দরে রাহুল নিরাপত্তাকর্মীদের বলছেন, রাজ্যপালের আমন্ত্রণে তাঁরা কাশ্মীরে এসেছেন, তা হলে তাঁদের আটকানো হচ্ছে কেন? এ প্রশ্নের কোনও জবাব দিতে দেখা যায়নি নিরাপত্তারক্ষীদের। তবে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত মন্তব্য করেছেন, ‘‘রাহুল গাঁধী যদি আনন্দ করতে কাশ্মীরে যেতে চান, তা হলে পর্যটন বিভাগকে যাবতীয় ব্যবস্থা করার জন্য বলতে পারি। তবে রাহুলদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, কারণ ওঁরা উপত্যকায় পৌঁছলে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy