প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে সোমবার বিরোধীদের উদ্দেশে বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সংসদকে সচল রাখতে বিরোধী সাংসদের কাছে অনুরোধ করলেন প্রধানমন্ত্রী, “আগামী পাঁচ বছর দেশের জন্য লড়তে হবে। দলগত রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠতে হবে।” ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের ফলাফলের পর প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ২০১৪ বা ২০১৯ সালের মতো এ বারের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। জোটনির্ভর সরকার চালাতে হচ্ছে কেন্দ্রে। তার উপর বিরোধীদের আসন সংখ্যাও বেড়েছে। এক দশক পর লোকসভায় ফিরেছে বিরোধী দলনেতার পদ। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে যেমন শরিকদের মন জুগিয়ে চলতে হচ্ছে, তেমনই সমঝে চলতে হচ্ছে বিরোধী দলকেও।
বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে রবিবার সংসদে সর্বদল বৈঠকেও বিরোধীদের অনেক বেশি ‘মজবুত’ দেখিয়েছে। সরকার পক্ষকে নিজেদের দাবিদাওয়া শুনিয়ে রেখেছেন বিরোধী দলের নেতারা। বাজেট অধিবেশনে বিরোধীদের অবস্থান কেমন হতে পারে, তার একটি আভাস পাওয়া গিয়েছে রবিবারের সর্বদল বৈঠক থেকে। তার পরই সোমবার সংসদকে সচল রাখতে বিরোধীদের উদ্দেশে মোদীর এই বার্তা। বিরোধী জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “জানুয়ারি থেকে আমাদের যত সামর্থ্য ছিল, যত লড়াই লড়ার ছিল, লড়ে নিয়েছি। সেই পর্ব (নির্বাচন) মিটেছে। এ বার নির্বাচিত প্রত্যেক জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব, আগামী পাঁচ বছর দেশের জন্য লড়াই করা। সবাইকে এক হয়ে লড়তে হবে। দলের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের জন্য নিজেদের সমর্পণ করুন।”
লোকসভা ভোটের গণনার পর সংসদের যে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল, সেখানেও বিরোধীদের চাপের মুখে পড়তে হয়েছিল মোদীকে। সোমবার সে কথাও উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। তাঁকে ‘অসাংবিধানিক ভাবে চুপ’ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল বলে দাবি মোদীর। তিনি বলেন, “আড়াই ঘণ্টা ধরে প্রধানমন্ত্রীকে চুপ করিয়ে রাখার চেষ্টা হয়েছিল। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এটা মেনে নেওয়া যায় না। যাঁরা করেছিলেন, তাঁদের এই নিয়ে কোনও অনুতাপও নেই।”
সংসদ চত্বরে বক্তব্য রাখার সময় সোমবার মোদী এটাও মেনে নেন, গত এক দশকে অনেক সাংসদই নিজেদের লোকসভা কেন্দ্রের জন্য কথা বলার সুযোগ পাননি। তবে এর দায় অবশ্য কোনও রাজনৈতিক দলের নাম না করেই বিরোধীদের একাংশের ঘাড়েই ঠেলেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, “২০১৪ সালের পর থেকে এমন অনেক সাংসদ ছিলেন, যাঁরা নিজেদের লোকসভা কেন্দ্রের জন্য কথা বলতে পারেননি। নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে সংসদকে সমৃদ্ধ করতে পারেননি। কারণ, কিছু দলের নেতিবাচক রাজনীতি সংসদের সময়কে নষ্ট করেছে।” পাশাপাশি, যাঁরা এ বছরের ভোটে প্রথম বার সাংসদ হয়েছেন, তাঁরা যাতে অধিবেশনে কথা বলার সুযোগ পান, সে কথাও তুলে ধরেন মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy