যশবন্ত সিনহা। ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের সর্বসম্মত প্রার্থী হচ্ছেন যশবন্ত সিংহ। মঙ্গলবার দুপুরে দিল্লিতে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের বাড়িতে ১৮টি দলের বৈঠকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকের পর পওয়ার, কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে-সহ বিরোধী নেতারা সাংবাদিক সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। পওয়ার বলেন, ‘‘বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ শিবিরের সর্বসম্মত প্রার্থী হবেন যশবন্ত।’’ ওই বৈঠকে তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে হাজির ছিলেন, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার সকালে পওয়ারের দিল্লির বাসভবনে খড়্গে, সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরিরা মিলিত হয়েছিলেন। সেখানেই যশবন্তের নাম কার্যত চূড়ান্ত হয়ে যায়। এর পর যশবন্ত নিজে টুইট করে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ারও ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। সেই টুইটে তিনি কৃতজ্ঞতা জানান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি, দল থেকে অব্যাহতি চান।
প্রাক্তন আমলা যশবন্ত ১৯৮৪ সালে জনতা দলের হাত ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন। এর পর তাঁর সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। তিনি বিজেপির মুখপাত্রও ছিলেন এক সময়। অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে অর্থ এবং বিদেশমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও সামলেছেন। কিন্তু ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের হাতে দলের রাশ ওঠার পর থেকেই বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে যশবন্তের।
মোদী-শাহের হাতে বিজেপির চিন্তা-ভাবনা গণতন্ত্র বিরোধী হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে একাধিক বার অভিযোগ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালে বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। নীলবাড়ির লড়াইয়ের আগে, ২০২১-এর মার্চ মাসে যোগ দেন তৃণমূলে। তবে তাঁর ছেলে জয়ন্ত সিন্হা এখনও বিজেপি-তেই রয়েছেন। জয়ন্ত ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy