ছবি টুইটার।
‘মহাভারত’-এর দ্রৌপদীর নামেই তাঁর নামকরণ করা হয়েছিল। প্রথমে তাঁর নাম দ্রৌপদী ছিল না। ওড়িশার এক পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথাই ভাগ করে নিলেন দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
ওই সাক্ষাৎকারে দ্রৌপদী জানিয়েছেন, তাঁর প্রথমে নাম রাখা হয়েছিল পুটি। পরে ওই সাঁওতালি নাম বদলে স্কুলের এক শিক্ষক তাঁর নাম রাখেন দ্রৌপদী । রাষ্ট্রপতির কথায়, ‘‘দ্রৌপদী আমার আসল নাম নয়। আমার এক শিক্ষক এই নাম দিয়েছিলেন।’’
এই প্রসঙ্গে দ্রৌপদী আরও বলেছেন, ‘‘আমার আগের নাম পছন্দ ছিল না শিক্ষকের। তাই নাম বদলে দেন।’’ পরিবারে সদ্যোজাতর নামকরণ কী ভাবে করা হয়, সে কথাও সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘‘পরিবারে মেয়ে হলে, ঠাকুমার নামে তাঁর নামকরণ করা হয়। আর ছেলে হলে দাদুর নামে।’’ বিয়ের আগে দ্রৌপদীর পদবি ছিল টুডু। স্কুল-কলেজেও তিনি এই পদবি ব্যবহার করতেন। বিয়ের পর পদবি বদলে রাখেন মুর্মু।
সোমবার রাষ্ট্রপতি হিসাবে প্রথম ভাষণ দেন দ্রৌপদী। দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে নির্বাচিত হওয়া দ্রৌপদী দেশের সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রপতি। দ্রৌপদী বলেন, ‘‘সকলের আশীর্বাদে আমি দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছি। আমি প্রগতিশীল একটি দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছি। নিজেকে খুব সৌভাগ্যবতী মনে হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমিই দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়া প্রথম ব্যক্তি যিনি ভারতের স্বাধীনতার পরে জন্মগ্রহণ করেছেন। ভারতের নাগরিকদের কাছে আমার আবেদন, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে আমাদের সকলকে একসঙ্গে চেষ্টা করতে হবে।’’
তিনি বলেছেন, ‘‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল। আর স্বাধীনতার ৭৫ বছরে আমি রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছি। দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়া আমার ব্যক্তিগত প্রাপ্তি নয়। এটি ভারতের প্রত্যেক দরিদ্র মানুষের প্রাপ্তি। আমার রাষ্ট্রপতি হওয়া প্রমাণ করে যে, ভারতের দরিদ্র মানুষেরা শুধু স্বপ্নই দেখেন না, সেই স্বপ্ন পূরণও করতে পারেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy