রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। — ফাইল চিত্র।
ধর্ষণের মতো সংবেদনশীল ঘটনায় কেন দেরিতে বিচার পাবেন নির্যাতিতারা? কেন মামলা ঝুলে থাকবে মাসের পর মাস? বিচার বিভাগের কাছে এ বার এমনই প্রশ্ন তুললেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
রবিবার জেলা বিচার বিভাগের দুই দিন ব্যাপী জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘ধর্ষণের মতো মামলায় যখন বহু দেরিতে বিচার মেলে, তখন বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেন সাধারণ মানুষ। তখন তাঁদের মনে ধারণা হয়, বিচার প্রক্রিয়া এমনই অসংবেদনশীল।’’
রাষ্ট্রপতির মত, গ্রামের মানুষের কাছে বিচার বিভাগ ‘ঈশ্বরের সমান’। কারণ তাঁরা সেখানে ন্যায়বিচার খুঁজে পান। এর পরেই দ্রৌপদী বলেন, ‘‘একটা কথা আছে, ‘ভগবান কা ঘর দের হ্যায়, অন্ধের নেহি’। অর্থাৎ ভগবানের বিচারে বিলম্ব হতে পারে, কিন্তু অন্যায় হতে পারে না। এখন প্রশ্ন হল, কত বিলম্ব? বিচার পেতে কত দিন অপেক্ষা করবেন মানুষ? আমাদের এ বিষয়ে ভাবা উচিত।’’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘‘যত দিনে মানুষ শেষমেশ বিচার পান, তত দিনে তাঁর জীবন থেকে হাসি মুছে গিয়েছে। কেউ কেউ হয়তো বেঁচেও নেই। এ বার এই ধরনের ঘটনায় দ্রুত এবং সুষ্ঠু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার কথা ভাবতে হবে বিচার ব্যবস্থাকে।’’ অপরাধীরা এমন ঘৃণ্য অপরাধ করার পরেও স্বাধীন ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আর ভুক্তভোগীরা ভয়ে সিঁটিয়ে ঘরে লুকিয়ে থাকছেন— এ নিয়েও নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘সবার আগে বদলাতে হবে এই ‘স্থগিতাদেশের সংস্কৃতি’কে। মামলায় বারবার স্থগিতাদেশ জারি করার এই রীতি এ বার বদলানোর সময় এসেছে।’’
তবে শুধু সমালোচনাই নয়, সেই সঙ্গে বিচার ব্যবস্থায় মহিলাদের সংখ্যা বৃদ্ধি হতে দেখে খুশি রাষ্ট্রপতি। প্রসঙ্গত, রবিবারের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ছিলেন কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy