২০০৬ সালে উমেশ পালকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল আতিকের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। ছবি: পিটিআই।
উত্তরপ্রদেশের বিধায়ক রাজু পাল হত্যাকাণ্ডের মূল সাক্ষী উমেশ পাল অপহরণের মামলায় আতিক আহমেদ এবং আরও ২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল প্রয়াগরাজের আদালত। ২০০৬ সালের উমেশ অপহরণ মামলায় মঙ্গলবার আদালতে তোলা হয়েছিল আতিক-সহ এই ঘটনায় অভিযুক্তদের। আতিকের ভাই আশরফ-সহ ৭ জনকে এই মামলায় বেকসুর খালাস করলেও, আতিক-সহ ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সমাজবাদী পার্টির (এসপি) প্রাক্তন সাংসদ এবং বিধায়ক আতিকের বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ-সহ একশোটিরও বেশি মামলা রয়েছে। গুজরাতের সাবরমতী জেলে বন্দি ছিলেন আতিক। সোমবার তাঁকে কড়া নিরাপত্তায় প্রয়াগরাজে নিয়ে আসা হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন তাঁকে যেন নিরাপত্তা দেওয়া হয়, সুপ্রিম কোর্টে এই আবেদন জানিয়েছিলেন আতিক। শুধু তাই-ই নয়, তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও প্রাণসংশয়ের আশঙ্কার কথা জানিয়ে আবেদন করেছিলেন। মঙ্গলবার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।
আতিক ছাড়াও যে ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত, তারা হলেন, দীনেশ পাসি এবং খান সওলাত হানিফ। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩ জনকেই ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। ১৭ বছরের পুরনো এই মামলার শুনানির জন্য সাবরমতী জেল থেকে সোমবার আতিক এবং বাকি অভিযুক্তদের প্রয়াগরাজের নৈনি জেলে নিয়ে আসা হয়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজু পাল হত্যাকাণ্ডের মূল সাক্ষী উমেশকে তাঁর বাড়ির সামনেই গুলি করে খুন করা হয়েছিল। যে ঘটনায় গোটা উত্তরপ্রদেশে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রাজুর মতো উমেশের খুনেও অভিযোগ ওঠে আতিক এবং তাঁর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে।
বহুজন সমাজ পার্টির তৎকালীন বিধায়ক রাজু খুন হয়েছিলেন ২০০৫ সালের ২৫ জানুয়ারি। উমেশ তখন জেলা পঞ্চায়েতের সদস্য। পুলিশকে বলেছিলেন, তিনি এই হত্যাকাণ্ডে সাক্ষ্য দেবেন। ২০০৬ সালে উমেশ অভিযোগ তুলেছিলেন, আতিক তাঁকে শাসাচ্ছেন। তাঁকে অপহরণেরও অভিযোগ ওঠে। ২০০৭ সালে আতিক, তাঁর ভাই এবং ৪ অজ্ঞাতপরিচয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy