নীতীশকে আবারও আক্রমণ প্রশান্ত কিশোরের। ফাইল চিত্র।
কর্মসংস্থান নিয়ে নীতীশ-লালুর ‘মহাগঠবন্ধনের’ সরকার কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণ করলে নীতীশ কুমারকে নেতা হিসাবে মেনে নেবেন প্রশান্ত কিশোর! বিহারে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন নিয়ে জেডিইউ-আরজেডিকে খোঁচা দিতে গিয়ে এ ভাবেই সরব হলেন ভোটকুশলী।
পিকে বলেছেন, ‘‘আগামী এক-দু’বছরে মহাজোটের সরকার যদি ১০ লক্ষ চাকরি দিতে পারে, তা হলে আমি ‘জন সূরয যাত্রা’ প্রত্যাহার করে সরকারকে সমর্থন জানাব। আদতে মানুষকে বোকা বানাতে এই চমক দেওয়া হয়েছে। ১০ লক্ষ মানুষকে বেতন দিতে কোথা থেকে টাকা পাবেন ওঁরা? যাঁরা এই মুহূর্তে সরকারি চাকরি করছেন, তাঁদেরই টাকা দিতে অক্ষম সরকার। চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকরা গত ছ’মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। আর ওঁরা ১০ লক্ষ চাকরি দেওয়া কথা বলছেন!’’ উল্লেখ্য, পালাবদলের পরই নীতীশ ও তাঁর ‘ডেপুটি’ তেজস্বী যাদব সম্প্রতি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। লালু-পুত্র বলেছেন, প্রতিশ্রুতি মতো ১০ লক্ষ চাকরি দেওয়া হবে। আর নীতীশ বলেছেন ২০ লক্ষ চাকরি দেওয়ার কথা।
প্রাক্তন জেডিইউ নেতার নিশানায় আবারও বিদ্ধ হয়েছেন নীতীশ। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে পিকে বলেছেন, ‘‘নীতীশজি কুর্সিতে ফেভিকল লাগিয়ে বসে রয়েছেন আর শরিকদের বদলাচ্ছেন। সরকারে থাকতে গত ১০ বছরে এই নিয়ে ছ’বার এই পথ বাছলেন।’’
বিহারে নবগঠিত মহাজোটের সরকার বেশি দিন টিকবে না বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন এই দুঁদে ভোটকুশলী। তাঁর দাবি, জেডিইউ, আরজেডি, কংগ্রেসের সরকারে জনসমর্থন নেই। ২০২৫ সালে বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক আঙিনায় এ ধরনের হঠাৎ রদবদলের ঘটনার আরও সাক্ষী হবে পটনা।
প্রসঙ্গত, একদা জেডিইউ-এর সহ-সভাপতি ছিলেন প্রশান্ত। নীতীশের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবেও পরিচিত ছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে নীতীশের বিরাগভাজন হন পিকে। পরে জেডিইউ থেকে পিকেকে বহিষ্কার করেছিলেন নীতীশ। এর পর থেকেই নানা সময়ে নীতীশের অন্যতম প্রধান সমালোচকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে ভোটকুশলীকে। বিহারে পালাবদলের পর আবারও যে ভাবে আক্রমণ শানালেন প্রশান্ত, তাতে এই পর্বে নয়া মাত্রা যোগ করল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy