একনাথ শিন্ডে-বিজেপি সরকারের হাত ধরার সিদ্ধান্ত কারও একার নয়। সবটাই দলের সিদ্ধান্ত। এনসিপিতে বিদ্রোহ নিয়ে এমনটাই দাবি করলেন একদা শরদ পওয়ারের ‘ঘনিষ্ঠ’ তথা বর্তমান অজিত পওয়ারের অনুগামী প্রফুল্ল পটেল। তিনি বলেছেন, ‘‘এটা প্রফুল্ল পটেল বা অজিত পওয়ারের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নয়। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের একটা বড় অংশ এবং দলীয় কর্মীরা একসঙ্গে মিলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’এনসিপিতে ‘একটাই জোটবদ্ধ পরিবার’ চান বলেও বার্তা দিয়েছেন প্রফুল্ল।
আরও পড়ুন:
ভাইপোর বিদ্রোহের পর কাকা শরদ পওয়ার জানিয়েছিলেন, তিনি নতুন করে গড়বেন তাঁর দল। অজিত পওয়ারের অনুগামীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করেছেন এনসিপি প্রধান। কিন্তু, পরিবার ভাঙুক, তা চান না প্রফুল্ল। ইন্ডিয়া টুডে’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আজ হয়তো আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখতে পাচ্ছেন, কিন্তু আগামী কাল দেখবেন সকলে মিলে একসঙ্গে বসে কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।’’
আরও পড়ুন:
পওয়ারের সঙ্গে তাঁর ভাইপো অজিতের দ্বন্দ্ব নতুন নয়। অতীতেও বিদ্রোহ করে শরদকে বিড়ম্বনায় ফেলেছেন অজিত। গত রবিবার আট এনসিপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে মহারাষ্ট্রের রাজভবনে যান পওয়ারের ভাইপো। তার পর হাত মেলান একনাথ শিন্ডে-বিজেপি সরকারের সঙ্গে। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ করেন অজিত। শরদের ভাইপো যে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবেন— তা নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই জল্পনা চলছিল। সেই জল্পনাই সত্যি হল রবিবার। ভাইপোর এ হেন পদক্ষেপের পর সরব হয়েছেন শরদও। ভাইপোর বিদ্রোহের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অজিতের অনুগামীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছেন শরদ। রাজ্যসভার সাংসদ তথা একদা ‘ঘনিষ্ঠ’ প্রফুল্ল পটেলকে বহিষ্কার করেন ‘মরাঠা স্ট্রংম্যান’। বহিষ্কার করা হয় লোকসভার সাংসদ সুনীল তটকরেকেও। তাঁর কন্যা অদিতি রবিবার অজিতের সঙ্গেই শপথগ্রহণ করেছিলেন। একই সঙ্গে আরও তিন দলীয় বিধায়ককে বহিষ্কার করেছেন পওয়ার। পাল্টা পদক্ষেপ করেছে অজিতগোষ্ঠী। জয়ন্ত পাতিলকে সরিয়ে তটকরেকে এনসিপির রাজ্য সভাপতি করার কথা ঘোষণা করেন প্রফুল্ল। তাঁকে অজিত পওয়ার নিয়োগ করেছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। দলে ‘গৃহযুদ্ধের’ আবহে সোমবার অজিত জানিয়ে দেন, এনসিপি সভাপতি শরদই। প্রফুল্লও সেই সুরেই এনসিপিতে একটাই পরিবারের বার্তা দিলেন। প্রফুল্ল বলেন, ‘‘আমরা কেউই আমাদের ঘরে (দলে) বিভাজন চাই না। শরদ পওয়ার আমাদের দলের সভাপতি।’’