হাসপাতালে লোডশেডিংয়ের অভিযোগে অস্বস্তিতে পঞ্জাবের ভগবন্ত মান সরকার। —ফাইল চিত্র।
রোগীর জটিল অস্ত্রোপচার চলছে। তার মাঝেই আচমকা লোডশেডিং! থমকে গেল অস্ত্রোপচারের কাজ। অচেতন অবস্থাতেই পড়ে রইলেন রোগী। এমনকি, ১৫ মিনিট ধরে তাঁর ভেন্টিলেটরও বন্ধ হয়ে রইল। এই ঘটনার পর অপারেশন থিয়েটার থেকেই এক চিকিৎসক ভিডিয়ো রেকর্ড করেন। পরে সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। যাতে অস্বস্তিতে পড়েছে সরকার।
পঞ্জাবের পটীয়ালার ঘটনা। রাজিন্দ্র হাসপাতালে সম্প্রতি লোডশেডিংয়ের ফলে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয় বলে অভিযোগ। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, হাসপাতালে বিদ্যুৎ নেই। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে আছেন রোগী। মাঝপথে থামিয়ে দিতে হয়েছে তাঁর অস্ত্রোপচার। ওই চিকিৎসক জানান, রোগীকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। কিন্তু লোডশেডিংয়ের ফলে যন্ত্র বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ১৫ মিনিট ধরে ভেন্টিলেটর বন্ধ ছিল বলে অভিযোগ। চিকিৎসকদের দাবি, এটা প্রথম ঘটনা নয়। আগেও একাধিক বার লোডশেডিংয়ের ফলে পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে হাসপাতালে। অভিযোগ, হাসপাতালের বিদ্যুৎ সরবরাহের সঠিক নিয়ম মানা হয়নি। ভাইরাল ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
চিকিৎসকদের অভিযোগের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে পড়েছে পঞ্জাব সরকার। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলবীর সিংহ তড়িঘড়ি সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন এবং অভিযোগগুলি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘‘পটীয়ালার রাজিন্দ্র হাসপাতালে ত্রিস্তরীয় বিদ্যুৎ ব্যাকআপ সিস্টেম রয়েছে। তা সম্পূর্ণ সক্রিয়। শুক্রবার একটি স্থানীয় সমস্যার কারণে হাসপাতালের বিদ্যুৎ পরিষেবা কিছু ক্ষণের জন্য ব্যাহত হয়েছিল। ব্যাকআপ সিস্টেমের মাধ্যমে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। রোগীর অস্ত্রোপচারে কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি। অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে এবং রোগী সুস্থ আছেন।’’ চিকিৎসকের ওই ভাইরাল ভিডিয়ো প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘‘হাসপাতালের এক জুনিয়র ডাক্তার ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তিনি একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করেছেন। আমাদের সকল স্বাস্থ্যকর্মী রোগীদের যত্নের বিষয়ে তৎপর।’’
হাসপাতালের ঘটনা প্রসঙ্গে পঞ্জাবের ক্ষমতাসীন আপ সরকারকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। ভাইরাল ভিডিয়ো স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নে সরকারের ব্যর্থতাই প্রকট করে বলে দাবি তাদের। তবে অব্যবস্থার অভিযোগ মানতে চায়নি পঞ্জাব সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy