চণ্ডীগড়ে পোর্শের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক স্কুটারচালকের। আহত হয়েছেন আরও দু’জন। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে। পুলিশ জানিয়েছে, নিয়ম ভেঙে ভুল দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসছিল পোর্শেটি। সেই সময়েই রাস্তা দিয়ে দু’টি স্কুটার যাচ্ছিল। একটি স্কুটারে ছিলেন এক তরুণ। অপর স্কুটারে দু’জন মহিলা ছিলেন। দ্রুত গতিতে থাকা সাদা রঙের ওই পোর্শে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে দু’টি স্কুটারে। সংঘর্ষে স্কুটার থেকে পড়ে যান ২১ বছর বয়সি ওই তরুণ। তাঁর একটি পা কাটা পড়ে দুর্ঘটনায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। অন্য স্কুটারের দুই মহিলাও আহত হন। তাঁরা বর্তমানে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ সূত্রে খবর, পোর্শেটির গতি যথেষ্ট বেশি ছিল। দু’টি স্কুটারে ধাক্কা মারার পরে আরও কিছুটি এগিয়ে যায় পোর্শেটি। তার পরে রাস্তার ধারে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে এবং ট্র্যাফিক চিহ্নের বোর্ডে ধাক্কা মারে। শেষে একটি গাছে ধাক্কা মেরে থামে গাড়িটি। গাড়ির ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই খুঁটিটিও। সংঘর্ষে একটি স্কুটার সম্পূর্ণ দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। পোর্শের সামনের অংশ এবং সামনের দিকে একটি চাকাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কী ভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘাতক ওই পোর্শের চালককে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে গাড়িটিও। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পরে পুলিশ জানতে পারে, গাড়িটি সঞ্জীব নামে এক ব্যক্তির নামে নিবন্ধীকৃত। তিনি চণ্ডীগড়ের সেক্টর ২১ এলাকার বাসিন্দা। বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং পথসুরক্ষা বিধি ভাঙার অভিযোগে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
গত বছরের মে মাসে মহারাষ্ট্রের পুণের পোর্শেকাণ্ড ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। ওই বছর ১৯ মে দুই ইঞ্জিনিয়ারকে পিষে মারার অভিযোগ ওঠে চালকের বিরুদ্ধে। পুণের ওই দুর্ঘটনার সময়ে পোর্শেটি চালাচ্ছিল ১৭ বছর বয়সি এক কিশোর। সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছিল, একটি সরু রাস্তা দিয়ে ঘণ্টাপ্রতি ২০০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালাচ্ছিল ওই কিশোর।