বৈশাখীর উৎসবে কি বড়সড় গোলমালের ছক কষছেন অমৃতপাল? — ফাইল ছবি।
সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে স্বঘোষিত ধর্মগুরু তথা ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’-এর প্রধান খলিস্তানপন্থী অমৃতপাল সিংহের একটি ভিডিয়ো। তাতে বৈশাখীর দিন অনুগামীদের বৈঠকে বসে আগামী কর্মসূচি স্থির করার ডাক দিয়েছেন অমৃতপাল। সেই আহ্বানের কথা মাথায় রেখে ভাটিন্ডাকে মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। গোটা পঞ্জাব জুড়েই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজা হচ্ছে। পুলিশের সন্দেহ, বৈশাখীর দিন আবার বড় কোনও গোলমাল পাকানোর ছক কষতে পারেন পলাতক অমৃতপাল। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
যদিও নিরাপত্তা ব্যবস্থা যে ঢেলে সাজা হচ্ছে, তা স্বীকার করেননি পঞ্জাব পুলিশের এডিজি। সুরিন্দর পাল সিংহ পারমার বলেন, ‘‘বৈশাখী উৎসব আসছে। সেই জন্য ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়ে আমরা ব্যস্ত আছি। জনগণ যাতে কোনও সমস্যা ছাড়াই উৎসবে মাততে পারেন, তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। পঞ্জাবে সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোনও সমস্যা নেই।’’
গত ২ এপ্রিল জল্পনা তৈরি হয়, অমৃতপাল স্বর্ণমন্দিরে আত্মসমর্পণ করবেন। সেই অনুযায়ী, অমৃতসরকে মুড়ে ফেলা হয় নিরাপত্তার চাদরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অমৃতপালের দেখা মেলেনি। সাম্প্রতিক ভিডিয়োয় অমৃতপাল নিজেকে পলাতক বলে মানতে চাননি। সেখানে খলিস্তানপন্থী নেতা জানান, খুব দ্রুত তিনি আবার বিশ্বের সামনে হাজির হবেন। চিন্তার কোনও কারণ নেই। এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর অতিরিক্ত পুলিশবাহিনীকে।
এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে পঞ্জাব পুলিশের প্রধান বলেন, ‘‘আমরা এখন বৈশাখী নিয়ে ব্যস্ত আছি। কিন্তু এর মধ্যেও অমৃতপাল যদি আত্মসমর্পণ করতে চান তাহলে আমাদের দিক থেকে আইন মেনে যা করার, করা হবে।’’
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি অমৃতসরের অজনালা থানা ঘিরে ফেলে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন অমৃতপালের অনুগামীরা। তাঁদের এক সঙ্গীকে ছাড়ার জন্য পুলিশের উপর চাপও তৈরি করেন অমৃতপাল। চাপের মুখে পুলিশ অমৃতপালের সহযোগীকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। তার পরেই অমৃতপালকে ধরার পরিকল্পনা তৈরি শুরু হয়। ১৮ মার্চ থেকে অমৃতপালের সন্ধানে ঘুরছে পুলিশ। এর মধ্যে একাধিক বার অমৃতপাল পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy