এনআইটি পটনার হস্টেল থেকে উদ্ধার ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। শুক্রবার রাতে হস্টেলের পাঁচ তলার একটি ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কী ভাবে ওই ছাত্রীর মৃত্যু, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের তদন্তকারী দল প্রাথমিক ভাবে অনুমান করছে, আত্মহত্যাই করে থাকতে পারেন ওই ছাত্রী। যদিও তাতে কী লেখা রয়েছে, সেই বিষয়টি তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
শনিবার সকালে পটনা পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুক্রবার রাত ১০টার কিছু পরে পুলিশের কাছে ঘটনার খবর আসে। এক ছাত্রী হস্টেলের ঘরে সিলিং ফ্যান থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশকে জানানো হয়। সেই তথ্য পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি দল এনআইটির হস্টেলে পৌঁছয় এবং ছাত্রীর দেহ নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন:
ছাত্রীর দেহ ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এনআইটি পটনার ওই ছাত্রী অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা। তাঁর পরিবারকেও খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। হস্টেল থেকে বেশ কিছু নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে। ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করা হলেও, কী কারণে এই পথ তিনি বেছে নিয়েছেন তা এখনও অস্পষ্ট। এনআইটি পটনার হস্টেলের ওই ঘরটি সিল করে দিয়েছে পুলিশ।