অভয় সিংহ ওরফে ‘আইআইটি বাবা’কে এ বার গাঁজা-সহ পাকড়াও করল পুলিশ। ‘আইআইটি বাবা’র দাবি, সেগুলি আসলে ‘প্রসাদ’। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জয়পুরে। সেখানে একটি হোটেলে থাকছিলেন ‘আইআইটি বাবা’। কিছু হট্টগোলের খবর পেয়ে ওই হোটেলে পুলিশ পৌঁছায়। তখনই ‘আইআইটি বাবা’র থেকে গাঁজা উদ্ধার হয়। ঘটনার জেরে কিছু ক্ষণের জন্য তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। যদিও পরে আবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’ অনুসারে, পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর থেকে স্বল্প পরিমাণে গাঁজা উদ্ধার হয়েছে, যা অনুমিত সীমার মধ্যেই ছিল।
কত পরিমাণ গাঁজা ‘আইআইটি বাবা’র থেকে পাওয়া গিয়েছে, তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তবে মাদক সংক্রান্ত (এনডিপিএস) আইন অনুসারে, স্বল্প পরিমাণ গাঁজা বলতে বোঝায় সর্বাধিক ১০০ গ্রাম। পুলিশের থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ‘আইআইটি বাবা’ বলেন, “কিছুটা প্রসাদের গাঁজা ওঁরা (পুলিশ) পেয়েছেন।” তাঁর দাবি, হোটেলের কেউ নাকি পুলিশকে জানিয়েছিলেন তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ পৌঁছে গিয়েছিল হোটেলে।
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলার সময়ে ‘আইআইটি বাবা’কে ঘিরে আলোচনা শুরু হয়। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর বিভিন্ন ভিডিয়ো। তাঁর দাবি, আইআইটি মুম্বই থেকে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। বিদেশে মোটা বেতনের চাকরিও পেয়েছিলেন। কিন্তু সে সব ছেড়ে তিনি সন্ন্যাসের পথ বেছে নিয়েছেন বলে দাবি করেন অভয় ওরফে ‘আইআইটি বাবা’।
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে কটাক্ষের শিকারও হন ‘আইআইটি বাবা’। তিনি দাবি করেছিলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের হার নিশ্চিত। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয়নি। কয়েক দিন আগে উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় এক বিতর্কসভায় তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং মারধরেরও অভিযোগ তুলেছিলেন ‘আইআইটি বাবা’। ঘটনার প্রতিবাদে নয়ডার ১২৬ সেক্টর থানার বাইরে ধর্নাতেও বসেছিলেন তিনি। পরে পুলিশ তাঁকে বুঝিয়ে সেখান থেকে উঠিয়ে দিয়েছিল।