(বাঁ দিকে) পূজার মা। পূজা খেড়কর (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
মহারাষ্ট্রের শিক্ষানবিশ আমলা পূজা খেড়করের মা মনোরমার পুরনো একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই এ বার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল পুণে পুলিশ। পূজার ঘটনা নিয়ে এমনিতেই খেড়কর পরিবারের সমস্যা বাড়ছিল, তাঁর মায়ের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই আরও বিপাকে খেড়কর পরিবার।
সম্প্রতি পূজার মায়ের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে (যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। পূজার মায়ের বিরুদ্ধে এক কৃষককে বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি এবং জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছিল। ওই কৃষকের দাবি, পুলিশ সেই সময় কোনও অভিযোগ নিতে চায়নি। কারণ খেড়কর পরিবার অত্যন্ত প্রভাবশালী। আর সেই প্রভাব খাটানো হয়েছিল বলে দাবি ওই কৃষকের।
কিন্তু পূজার ‘কীর্তি’ নিয়ে যখন শোরগোল চলছে এবং বিতর্ক তুঙ্গে, সেই আবহেই পূজার মায়ের পুরনো ভিডিয়ো আবার প্রকাশ্যে আসতেই এ বার নড়েচড়ে বসে পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ বাড়তে থাকায় পূজার মায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে পূজার বাবা দিলীপ খেড়করের বিরুদ্ধেও। ঘটনাচক্রে, পূজার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রশাসনিক আধিকারিক। পুণের পুলিশ সুপার পঙ্কজ দেশমুখ জানিয়েছেন, যে ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে, সেটি এক বছর আগের। অভিযোকারী কৃষককে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি যা অভিযোগ দায়ের করবেন, তার ভিত্তিতেই পদক্ষেপ করা হবে। ইতিমধ্যে ওই কৃষক অভিযোগও দায়ের করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
গত কয়েক দিন ধরেই পূজার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে শোরগোল চলছে। শিক্ষানবিশ আমলা হয়েও কী ভাবে একজন আমলার সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী একজন শিক্ষানবিশ আমলা পদোন্নতির পরে ‘গেজেটেড অফিসার’ হলেই উক্ত সুবিধাগুলি পেয়ে থাকেন। কিন্তু পূজা সে সবের পরোয়া না করেই ওই দাবি জানান এবং না পেয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসকের চেম্বার দখল করে নিজের নামের ফলক লাগিয়ে দেন। নিজের নামে লেটারহেড, ভিজ়িটিং কার্ড, পেপারওয়েট, সিলমোহরের স্ট্যাম্প এবং ইন্টারকমেরও দাবি করেন পূজা। ওই সব সুবিধা পূজাকে দেওয়ার জন্য তাঁর ‘প্রাক্তন আমলা’ বাবা পুণের জেলাশাসককে ফোন করে চাপও দেন বলে অভিযোগ। এর পরেই পূজাকে বদলি করা হয় পুণে থেকে ওয়াসিমে একটি আপাত-গুরুত্বহীন পদে। তার পরেও বিতর্ক থামেনি। ২১ বার ট্র্যাফিক আইন ভাঙার অভিযোগও উঠেছে পূজার বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy