—প্রতীকী চিত্র।
সদ্যোজাত কন্যাকে খুন করে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার মা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম দিল্লিতে। ধৃত মহিলার দাবি, এই নিয়ে চতুর্থ কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। দুই কন্যাসন্তানের আগেই মৃত্যু হয়েছিল। চতুর্থ কন্যার জন্মের পর থেকেই সমাজে বিভিন্ন ধরনের বিদ্রুপের মুখে পড়তে হচ্ছিল তাঁকে। সেই কারণেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পশ্চিম দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বিচিত্র বীর শনিবার জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ পুলিশের পিসিআরে একটি ফোন গিয়েছিল। জানানো হয়, ছয় দিনের এক সদ্যোজাতের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ বাড়িতে গেলে তিনি জানান, আগের রাতেই তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন এবং সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে এসেছেন। রাত দুটো নাগাদ সদ্যোজাত কন্যাকে দুগ্ধপানও করিয়েছিলেন তিনি। তার পর ঘুমিয়ে পড়েন এবং ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ঘুম ভাঙতেই দেখেন, মেয়ে পাশে নেই।
মহিলার বক্তব্যের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। আশপাশের এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। এমনকি কাছাকাছি যে বাড়িগুলি রয়েছে, সেগুলিও তল্লাশি করে পুলিশ। এই তল্লাশির মাঝে ওই মহিলা পুলিশকে জানান, তাঁকে সেলাই কাটাতে হাসপাতালে যেতে হবে। মহিলার এই বক্তব্যে পুলিশকর্মীদের মনে কিছুটা সন্দেহ জেগেছিল। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে, মহিলাকে হাসপাতালে যাওয়ার অনুমতি দেন পুলিশকর্মীরা। এরই মধ্যে বাড়ির পিছন দিকে একটি ব্যাগ মেলে। সেটি খুলতেই সন্ধান মেলে ‘নিখোঁজ’ শিশুর। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, এর পরই পুলিশের সন্দেহ যায় মহিলার দিকে। তাঁর খোঁজে পুলিশের তিনটি পৃথক দলকে পাঠানো হয় তিন জায়গায়। একটি দল যায় হাসপাতালে, একটি বাসস্ট্যান্ডে এবং তৃতীয় দলটি যায় শাহদারায় মহিলার বাড়িতে। মহিলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই তিনি ভেঙে পড়েন এবং মেয়েকে খুনের কথা স্বীকার করে নেন। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy