—প্রতীকী চিত্র।
তামিলনাড়ুর এক সরকারি হোমে নাবালিকাদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ পেশাদার মনোবিদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর নাগাপত্তিনম জেলায়। অভিযুক্ত ওই মনোবিদকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি ওই সরকারি হোমে ‘খারাপ’ ও ‘ভাল’ স্পর্শের মধ্যে ফারাক বোঝাচ্ছিলেন নাবালিকাদের। সেই সময়েই পাঁচ নাবালিকাকে তিনি যৌন হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। তামিলনাড়ুর সমাজকল্যাণ দফতরের অধীনস্থ ওই হোমের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
মনোবিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি নাবালিকাদের থেকে প্রথমে জানতে পারেন হোমের শিশুকল্যাণ কমিটির এক সদস্য। তিনিই হোমের সুপারকে ঘটনার কথা জানান এবং অভিযুক্ত মনোবিদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান শুরু হয়। পরে পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পকসো আইনে এফআইআর রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ এবং প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। ধৃতকে জেরা করে এই ঘটনার আরও তদন্ত চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক জানিয়েছেন, এ বার থেকে তিন সদস্যের একটি দল হোমের শিশুদের কাউন্সেলিং করবে। পাশাপাশি পুরুষ মনোবিদের বদলে মহিলা মনোবিদ নিয়োগ করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কিছু দিন আগেই মধ্যপ্রদেশের ভোপালে এক বেসরকারি স্কুলে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে এসেছিল। সেই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছিল স্কুলেরই কম্পিউটার শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সপ্তাহ দু’য়েক আগে মহারাষ্ট্রে এক ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল এক গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। গত অগস্ট মাসে কর্নাটকের কালবুর্গিতে এক স্কুলে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন এক শিক্ষক। পর পর এই ঘটনাগুলিতে বার বার প্রশ্ন উঠেছে শিশু সুরক্ষা নিয়ে। এ বার তামিলনাড়ুর সরকারি হোমের ঘটনা সেই প্রশ্নকেই আরও বড় করে তুলল বলে মত একাংশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy