পুলিশের বিরুদ্ধে কিশোরীকে মারধরের অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে থানায় গিয়েছিল বছর তেরোর এক কিশোরী। কিন্তু অভিযোগ না নিয়ে তাকে রাতভর আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেল পুলিশের বিরুদ্ধে। গত ৩০ অগস্ট ঘটনাটি ঘটে মধ্যেপ্রদেশের ছতরপুরে। বুধবার সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন।
বাবু খান এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগ জানাতেই কোতওয়ালি থানায় গিয়েছিলেন কিশোরী। যদিও গত ৩ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বাবু খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
কিশোরীকে মারধরের অভিযোগে কোতওয়ালি থানার স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) অনুপ যাদব, সাব-ইনস্পেক্টর মোহিনী শর্মা এবং এএসআই গুরুদত্ত শেষাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানান ছতরপুরের পুলিশসুপার শচীন শর্মা। যুগ্ম জেলাশাসক প্রতাপ সিংহ জানিয়েছেন, জেলা শিশুকল্যাণ কমিটির তরফে ধর্ষণের একটি অভিযোগ পেয়ে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশকে কিশোরীর মা জানিয়েছেন, ৩০ অগস্ট তাঁর মেয়েকে জোর করে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান বাবু। বাড়িতে তিন দিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, ঘটনাটি জানতে পারার পরই তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু দুই পুলিশকর্মী বয়ান বদলের জন্য মেয়েকে চাপ দেন। বয়ান বদলাতে অস্বীকার করলে মেয়েকে থানার মধ্যে আটকে রাখেন তাঁরা।
কিশোরীর মা বলেন, “মেয়েকে থানার ভিতরে ঢুকিয়ে নেন এক পুলিশকর্মী। অন্য এক পুলিশকর্মী আমাকে থানার বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখেন। ভিতর থেকে মেয়ের চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম। ওর পেটে লাথি মারা হয়েছে। বেল্ট দিয়েও পেটানো হয়েছে। সারারাত মেয়েকে থানায় আটকে রাখে পুলিশ। আমরা বাইরে অপেক্ষা করতে থাকি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy