ছবি: পিটিআই।
প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে রয়েছেন ছ’বছরের বেশি। এক বারের জন্যও সাংবাদিক বৈঠকে তাঁদের প্রশ্নের মুখোমুখি হননি নরেন্দ্র মোদী। করোনার দাপট থেকে বেহাল অর্থনীতি— কোনও কিছু সম্পর্কেই সরাসরি প্রশ্ন করতে তাঁর নাগাল পান না সাংবাদিকরা। কিন্তু সেই মোদীরই দাবি, দেশের গণতন্ত্রকে মজবুত রাখতেই বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা তৈরি থেকে সরকারি নীতির ভুলত্রুটির পর্যালোচনা— সংবাদমাধ্যমের এই ভূমিকা জরুরি। শুধু তা-ই নয়, আরও এক ধাপ এগিয়ে সংবাদমাধ্যমকে গুণে, মানে ও প্রভাবে আন্তর্জাতিক স্তরে বড় শক্তি হয়ে ওঠার ডাক দিলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার এক ভিডিয়ো-অনুষ্ঠানে বলেন, “স্বচ্ছ ভারত মিশন থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে সংবাদমাধ্যম যে ভূমিকা নিয়েছে, তা প্রশংসার যোগ্য। বিশেষ করে করোনার সময়ে তারা যে
ভাবে সাধারণ মানুষের সেবা করেছে, তা অভূতপূর্ব। সরকারি নীতি সম্পর্কে আলোচনা, তার বাস্তবায়নে ত্রুটি-বিচ্যুতির সমালোচনাও সংবাদমাধ্যমের কাজের অঙ্গ। কারণ, তা গণতন্ত্রকে মজবুত করে। তাই এখন বিশ্ব মানচিত্রেও বড় শক্তি হয়ে উঠুক সংবাদমাধ্যম।
মোদীর মতে, সারা বিশ্ব এখন অনেক বেশি মন দিয়ে ভারতের কথা শোনে। সেই সঙ্গে এই দেশ শপথ নিয়েছে আত্মনির্ভরতার। তাই এখন তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিন্দু হয়ে ওঠার সুযোগ এসেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সামনেও।
প্রধানমন্ত্রীর এই কথায় জল্পনা শুরু হয়েছে, তবে কি এই ক্ষেত্রেও বিদেশি লগ্নির দরজা আরও হাট করে খোলার কথা ভাবছে কেন্দ্র? সেই সঙ্গে উঠছে অবধারিত একটি প্রশ্ন, সরকারের সমালোচনা গুরুত্বপূর্ণ হলে, তিনি নিজে কেন সাংবাদিক বৈঠক এড়িয়ে চলছেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy