কুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের মন্তব্যের বিরোধিতা করতে গিয়ে বিতর্কের মুখে পড়লেন বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী। তিনি বলেন, ‘‘যতটা অতিরঞ্জিত করে বলা হচ্ছে, কুম্ভের পদপিষ্টের ঘটনা ততটা বড় নয়।’’ অখিলেশের মন্তব্যের বিরুদ্ধে এ ভাবে পাল্টা আক্রমণ শানালেন হেমা।
মঙ্গলবার সাংবাদিকরা কুম্ভের পদপিষ্টের ঘটনা, সরকারের ভূমিকা ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন মথুরার বিজেপি সাংসদকে। এই প্রসঙ্গ উঠতেই হেমার মন্তব্য, ‘‘অখিলেশ যাদবের কাজই হচ্ছে ভুল তথ্য দেওয়া। আমিও কুম্ভ ঘুরে এসেছি। যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি খুব একটা বড় নয়। অতিরঞ্জিত করে প্রচার করা হচ্ছে।’’ কুম্ভমেলার মতো বিশাল ধর্মীয় অনুষ্ঠান উত্তরপ্রদেশ সরকার দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করছেন বলেও দাবি করেছেন হেমা।
তাঁর কথায়, ‘‘খুব ভাল ভাবে এই মহাকুম্ভ আয়োজন করা হয়েছে। বিপুল সংখ্যায় পুণ্যার্থী আসছেন পুণ্যস্নানে। বিশাল সমারোহ মসৃণ ভাবে পরিচালনা করতে যা যা করার দরকার তা-ই করছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।’’ কুম্ভের পদপিষ্টের ঘটনাকে ‘খুব বড় নয়’ বলে মন্তব্য করতেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মথুরার বিজেপি সাংসদকে। আর এ নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।
কুম্ভের পদপিষ্টের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ সরকার মৃতের সংখ্যা লুকোনোর চেষ্টা করছে বলে সংসদে অভিযোগ তোলেন অখিলেশ। এই ঘটনা নিয়ে তিনি সর্বদলীয় বৈঠকে আলোচনার দাবিও জানান। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁরা সত্যিটাকে লুকোতে চাইছেন, তাঁদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা হোক।’’ ধর্মীয় সমারোহকে কাজে লাগিয়ে যে ভাবে সরকারের প্রচার করা হয়েছে তা নিন্দনীয় বলেও কটাক্ষ করেছেন অখিলেশ। যাঁরা ডিজিটাল কুম্ভ বলে দাবি করছেন, তাঁরা কেন পদপিষ্টের মৃত্যুর সংখ্যা দিতে পারছেন না, প্রশ্ন তুলেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান।
শুধু হেমাই নন, পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও। গত শনিবার সস্ত্রীক কুম্ভে পুণ্যস্নানে গিয়েছিলেন তিনি। ধনখড় সে দিন জানান, দুর্ঘটনায় কারও হাতে থাকে না। ঘটে যায়। কিন্তু কত তাড়াতাড়ি সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়, সেটই বড় বিষয়। এই পরিস্থিতি দ্রুত সামাল দেওয়ার জন্য যোগী আদিত্যনাথকে ধন্যবাদও জানান ধনখড়।
গত ২৯ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে কুম্ভস্নানের আগে পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩০ জনের। আহত হয়েছেন অনেকে। কিন্তু এই মৃত্যু ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, মৃত্যুর সংখ্যা লুকোনো হচ্ছে। আর এই ঘটনা নিয়েই মঙ্গলবার উত্তাল হয় সংসদ।