Advertisement
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Kolkata Doctor Rape and Murder

নারী নির্যাতন রোধে ‘দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি’! আরজি কর আবহে মোদীর বার্তা দেশের বিচারপতিদের

দিল্লিতে জেলা বিচার বিভাগের জাতীয় সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং অন্য বিচারপতিরা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২৪ ১২:২৯
Share: Save:

আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় সারা দেশ যখন তোলপাড়, মহিলাদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। দিল্লিতে জেলা বিচার বিভাগের জাতীয় সম্মেলনে গিয়ে তিনি জানালেন, দেশে মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য অনেক কঠোর আইন রয়েছে। তবে নারী নির্যাতন আটকাতে সেই আইনগুলিকে আরও সক্রিয় করা প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং অন্য বিচারপতিরা।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিল্লির অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘নারী নির্যাতন, শিশুদের নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলি এখন সমাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেশে অনেক কঠোর আইন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেই আইনগুলিকে আরও সক্রিয় করে তোলা প্রয়োজন। মহিলাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার ঘটনায় যত দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তত বেশি নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে।’’

দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে গত ১০ বছরে বিজেপি সরকার কী কী করেছে, অনুষ্ঠানে তার খতিয়ান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, ‘‘বিচার ব্যবস্থার বিলম্ব দূর করতে গত এক দশকে অনেক পদক্ষেপ করা হয়েছে। বিচার ব্যবস্থার পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য সরকার ১০ বছরে আট হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিচার ব্যবস্থার পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য গত ২৫ বছরে যে অর্থ খরচ করা হয়েছিল, তার ৭৫ শতাংশ ১০ বছরেই খরচ করেছে বিজেপি সরকার।’’

দিল্লির ‘ভারত মণ্ডপম’ নামক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে বিচার ব্যবস্থার উদ্দেশে এই বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের শীর্ষ আদালতের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। মোদী বলেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের ৭৫ বছর। এটি শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের যাত্রা নয়, এ হল ভারতের সংবিধানের এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধের অগ্রগতি। এটি গণতন্ত্র হিসাবে ভারতের আরও পরিণত হওয়ার যাত্রা।’’

উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। বিচারের দাবিতে দিকে দিকে চলছে বিক্ষোভ, আন্দোলন। এই পরিস্থিতিতে ধর্ষণের বিরুদ্ধে কড়া আইন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দু’বার চিঠি লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২২ অগস্ট ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন বলবৎ করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রথম চিঠিটি লিখেছিলেন মমতা। দ্বিতীয় চিঠিটি লিখেছেন আট দিনের ব্যবধানে, শুক্রবার। আরজি করের আবহে দেশের সর্বত্র বিচারের দাবি জোরদার হচ্ছে। ঘটনার পর তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে এক জনকেই। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে ঘটনার পরের দিনই গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। সিবিআই এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত বিচারের বার্তা দিলেন মোদীও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE