Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
PM Narendra Modi

Farm Law: মোদীর নতি স্বীকার, আন্দোলনের চাপে তিন কৃষি আইনই প্রত্যাহারের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে গত এক বছর ধরে আন্দোলন করেছেন কৃষকেরা। অবশেষে তাঁদের আন্দোলন সফল হল।

মোদীর আক্ষেপ, ‘‘আমাদের উদ্দেশ্য সৎ ছিল। কিন্তু কৃষি আইনের সুফলের কথা কিছু কৃষককে আমরা বোঝাতে পারিনি।’’

মোদীর আক্ষেপ, ‘‘আমাদের উদ্দেশ্য সৎ ছিল। কিন্তু কৃষি আইনের সুফলের কথা কিছু কৃষককে আমরা বোঝাতে পারিনি।’’ ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২১ ০৯:২৩
Share: Save:

শেষ পর্যন্ত বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করছে কেন্দ্র। গত প্রায় এক বছর ধরে ওই আইন নিয়ে আন্দোলন করছিলেন কৃষকরা। শুক্রবার জাতীর উদ্দেশে ভাষণে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যার অর্থ, কেন্দ্রীয় সরকার তথা মোদী পিছু হঠলেন।

যে কৃষি আইন বলবৎ করা নিয়ে অনড় ছিল কেন্দ্র, সেই অবস্থান থেকে সরে এল তারা। কৃষি আইনে প্রণয়নে তাঁর সরকারের কিছু গাফিলতি ছিল বলে স্বীকার করেছেন মোদী। বলেছেন, ‘‘হয়ত আমাদেরও কিছু ত্রুটি ছিল।’’ সেই সঙ্গেই আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে মোদীর আক্ষেপ, ‘‘আমাদের উদ্দেশ্য সৎ ছিল। কিন্তু কৃষি আইনের সুফলের কথা কিছু কৃষককে আমরা বোঝাতে পারিনি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমরা কৃষি আইনের মাধ্যমে কী করতে চেয়েছিলাম তা যদি কিছু কৃষক বুঝতে না পারেন, আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’’

আন্দোলনের পথ ছেড়ে কৃষকদের আবার চাষের ক্ষেতে ফিরতেও আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আসুন, সব আবার নতুন করে শুরু করা যাক।’’ পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘‘এখন কাউকে দোষারোপের সময় নয়।’’

গুরু নানকের জন্মদিবসে মোদীর এই ঘোষণা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। কারণ কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লির উপকণ্ঠে অবস্থানকারী কৃষকদের বড় অংশই পঞ্জাব এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। তাঁদের শিখ এবং জাঠ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা অনেক। আগামী বছরের গোড়াতেই ওই পঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে তিনটি কৃষি বিলে সংশোধন করে আইনে পরিণত হওয়ার পর থেকেই দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্তানে বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশেষত, পঞ্জাবে সেই বিক্ষোভের আগুন তীব্র হতে থাকে। রাস্তা অবরোধ, রেল রোকো-আন্দোলনের মাধ্যমে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিবাদ জানায় কৃষক সংগঠনগুলি। তাদের অভিযোগ, নতুন আইনের ফলে লোকসানের মুখে পড়বেন কৃষকেরা।

ফসল নিয়ে তাঁদের দরাদরির ক্ষমতা কমে যাবে, প্রচলিত ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) পাওয়া থেকেও বঞ্চিত হবেন তাঁরা। পাশাপাশি, বেসরকারি এবং বড় সংস্থাগুলির কাছে কৃষিপণ্য মজুত রাখার রাস্তাও খুলে যাবে। যদিও মোদী সরকারের পাল্টা দাবি, নতুন কৃষি আইনে কোনও ভাবে কৃষকেরা বঞ্চনার শিকার হবেন না। এমএসপি ব্যবস্থাও থাকবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE