প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
পাহাড়প্রমাণ প্রকল্পের শিলান্যাস এবং জনসভায় বিরোধী সরকারকে দুর্নীতি এবং পরিবারবাদের প্রশ্নে তীব্র আক্রমণ। শুক্রবার ছত্তীসগঢ় এবং উত্তরপ্রদেশের পরে শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যওয়াড়ি সফরের দ্বিতীয় ও শেষ দিনেও একই মডেল বহাল রাখলেন। আজ দুই ভোটমুখী রাজ্য তেলঙ্গানা এবং রাজস্থানে গিয়ে যথাক্রমে ৬১০০ কোটি এবং ২৪,৩০০ কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করেছেন মোদী। তেলঙ্গানায় আওয়াজ তুলছেন, ‘আব কি বার, বিজেপি সরকার’। তেলঙ্গানার বিআরএস সরকারকে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত হিসাবে বর্ণনা করে মোদী বলেছেন, ‘কংগ্রেস এবং বিআরএস উভয়েই তেলঙ্গানার জন্য বিপজ্জনক।’ অন্য দিকে রাজস্থানের বিকানেরের জনসভায় দাঁড়িয়ে মোদীর বার্তা, রাজস্থানে কংগ্রেস সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী। তাঁর অভিযোগ, ‘কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন তারা দেশকে ফোঁপরা করে দেয়। ক্ষমতাচ্যুত হলেই তাদের নেতারা বিদেশে গিয়ে দেশের বদনাম করেন।’
তেলঙ্গানার ওয়ারঙ্গলে বিভিন্ন পরিকাঠামো প্রকল্পের শিলান্যাস করে মোদী বলেন, “তেলঙ্গানা হয়তো নতুন রাজ্য। কিন্তু ভারতের ইতিহাসে এখানকার মানুষের অবদান অনস্বীকার্য। আজ যখন ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতি, তেলঙ্গানার মানুষের ভূমিকা তাতে অনেকটাই।”
মোদীকে পাল্টা আক্রমণ করতে ছাড়েনি কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল বিআরএস-ও। দলের নেতা তথা মন্ত্রী কে টি আর বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী তেলঙ্গানায় এসে অনর্গল মিথ্যা কথা বলে যান। তেলঙ্গানায় এসে খালি হাতে ফিরে যাওয়ার আগে মিথ্যা বলাটা তাঁর অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।” তাঁর কথায়, “রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির শূন্য পদ নিয়ে কথা বলার আগে গোটা দেশ জুড়ে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির শূন্যপদ পূরণ করার ব্যবস্থা নিন প্রধানমন্ত্রী।”
অন্য দিকে কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশের কথায়, “প্রধানমন্ত্রী বিআরএস-কে দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার বলেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি এবং বিআরএস একসঙ্গে রয়েছে। মনে করে দেখা যেতে পারে, এই বছরের গোড়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কনরাড সাংমার মেঘালয় সরকারকে সবচেয়ে দুর্নীতিবাজ বলেছিলেন। এর পর বিজেপি জোট গড়েছে সাংমার সঙ্গেই। এই বিষয়টি খতিযে দেখতে আমি সিবিআই-এর অধিকর্তাকে চিঠি লিখে অনুরোধ করেছি।” কংগ্রেস নেতা এ দিন দুর্নীতির বিষয় নিয়ে মোদীকে পাল্টা আক্রমণ করে বলেছেন, “যাঁরা খোলা মঞ্চ থেকে বিরোধী নেতাদের ইডি-সিবিআই লেলিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন, তাঁদের নিজেদের দুর্নীতিগ্রস্ত নেটওয়ার্ককে লাগাম পড়ানোর সময় কি এসে যায়নি? একের পর এক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বিজেপি শীর্ষ নেতাদের আত্মীয়দের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে।” বিজেপি এবং আরএসএস দুর্নীতি চক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ করেন তিনি। আজ সকালেই কংগ্রেস নেতা পবন খেরা সাংবাদিক সম্মেলন করে জে পি নড্ডা-অমিত শাহের আত্মীয় হিসাবে পরিচিত নীরজ সিংহ রাঠৌর, ব্রিজেশ রতন প্রমুখ নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন।
রাজস্থানের বিকানেরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, “মহিলাদের উপর নির্যাতনের তালিকায় শীর্ষে রাজস্থান। এখানে পরিস্থিতি এমন যে, রক্ষকরাই ভক্ষক হয়ে গিয়েছে। গোটা সরকারই ব্যস্ত ধর্ষক এবং খুনিদের বাঁচাতে। রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারের উপর মানুষের ক্ষোভ ক্রমশই বাড়ছে। মানুষ যখন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন, শাসকের গদি টলমল করে ওঠে। কংগ্রেস শব্দের এখন একটাই অর্থ, লুটপাটের দোকান।” প্রধানমন্ত্রীর দাবি, “গত ন’বছরে রাজস্থানের উন্নয়নের জন্য সম্ভাব্য সমস্ত পদক্ষেপ আমরা করেছি। আমরা উন্নত গ্রামের যোজনা এখানে শুরু করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy