প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবিঃ পিটিআই।
ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে গিয়ে আজ ২৯,৪০০ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, দেশের যুবশক্তিকে চাকরি দেওয়ার প্রশ্নে তাঁর সরকার গত তিন বছরে এমন কাজ করেছে যে ‘মিথ্যা প্রচারকারীদের’ মুখ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মুম্বইয়ে শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর পুত্র অনন্তের বিয়েতেও যোগ দিয়েছেন মোদী।
রাজনৈতিক শিবিরের মতে, দেশে বেকারত্বের বিষয়টি নরেন্দ্র মোদী সরকারের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সম্প্রতি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের নতুন পরিসংখ্যান কিছুটা মুখরক্ষা করেছে সরকারের। তারা রিপোর্টে জানিয়েছে, গত অর্থবর্ষে (২০২৩-২৪) ভারতে নতুন ৪.৭ কোটি কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। ২০২৩ সালের মার্চের শেষে দেশে কর্মরত মানুষের সংখ্যা ছিল ৫৯.৬৭ কোটি। ২০২৪-এর মার্চের শেষে তা বেড়ে ৬৪.৩৩ কোটিতে পৌঁছেছে। এক বছরে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার ৬%। যা এক বছর আগে ছিল মাত্র ৩.২%।
লোকসভা ভোটের সময়েই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রধান অস্ত্র ছিল দেশে ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব। তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে সেই সরকার ফের কাজ শুরু করার পরে সেই বেকারত্ব নিয়েই অস্বস্তি আরও বেড়েছে। সম্প্রতি সিটিগ্রুপ এক রিপোর্টে জানিয়েছে, ৭% আর্থিক বৃদ্ধির মুখ দেখলেও ভারতে যথেষ্ট কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা যাবে না। কার্যত কংগ্রেসের ইস্তাহারের প্রতিশ্রুতি ও দাবির সুরে সিটিগ্রুপ কেন্দ্রীয় সরকারি ক্ষেত্রে ১০ লক্ষ শূন্যপদ পূরণ করার কথাও বলেছে। তার পরেই পাল্টা জবাব হিসেবে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক যুক্তি দেয়, সিটিগ্রুপ সমস্ত সরকারি পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখেনি। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের মুখে দাঁড়ানো মহারাষ্ট্রে মোদী বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছরে কোভিড সত্ত্বেও ভারতে রেকর্ড রোজগার বেড়েছে। আরবিআই তার রিপোর্ট পেশ করার পর সমস্ত মিথ্যা ভাষ্য তৈরি করা ব্যক্তিদের মুখ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই মিথ্যাবাদীরা বিনিয়োগের শত্রু, বিকাশের শত্রু। তারা যুবকদের রোজগার আসলে বন্ধ করতে চায়। ভারতবাসী এদের সত্যটা ফাঁস করে দিচ্ছে। এদের মিথ্যা ভারতবাসী বুঝতে পারছে।’’
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ‘‘দেশে সেতু তৈরি হলে, রেলের লাইন পাতা হলে, রেলের কামরা তৈরি হলে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং সেটাই হচ্ছে। দেশে পরিকাঠামোর গতি বাড়ছে সেই সঙ্গে রোজগারের গতিও বাড়ছে। এনডিএ সরকারের মডেল, দেশের একেবারে শেষ পংক্তিতে থাকা মানুষকেও এগিয়ে নিয়ে আসা।‘‘
‘ভোটের রাজনীতি’ যে তাঁর পূর্বতন শাসকদের (কংগ্রেস) উদ্দেশ্য ছিল, এ কথাও আজ বলেছেন মোদী। সেই সঙ্গে জনজাতি, দলিত, পিছড়ে বর্গের জন্য তাঁর সরকার নিবেদিত বলে জানিয়েছেন। ঠাণে-বোরিভলি এবং গোরেগাঁও-মুলুন্দ লিঙ্ক রোডের টুইন টানেল প্রকল্পের আজ উদ্বোধন করেছেন মোদী। কেন্দ্রীয় সূত্রের বক্তব্য, ১৬,৬০০ কোটি টাকায় নির্মিত ঠাণে-বোরিভলি টানেল প্রকল্পটি বোরিভলি এবং ঠাণে ঘোড়বন্দর রোডের ওয়েস্টার্ন এক্সপ্রেস হাইওয়ের মধ্যে সরাসরি সংযোগ তৈরি করবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,এটি ঠাণে থেকে বোরিভলির যাত্রাপথ ১২ কিলোমিটার কমিয়ে দেবে, ভ্রমণের সময় বাঁচবে প্রায় ১ ঘণ্টা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy