প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই
গত বার গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সরকারের জিএসটি বসানোর সিদ্ধান্তে আগুন হয়েছিলেন সুরাতের বস্ত্র এবং হীরক ব্যবসায়ীরা। তাঁদের সঙ্গে দফায় দফায় বসতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের দুই শীর্ষ নেতা অরুণ জেটলি এবং অমিত শাহকে।
ফের ভোটের মুখে গুজরাত। জয় নিশ্চিত করার জন্য আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আজ সুরাত থেকে দু’দিনের গুজরাত সফর শুরু করলেন। কেন্দ্র এবং রাজ্য ‘ডাবল ইঞ্জিন’-এর মাহাত্ম্য প্রচার করে সুরাতের জন্য ৩৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক বিপুল জনতার সামনে কার্যত নির্বাচনী বক্তৃতা দিতে দেখা গেল তাঁকে। বললেন, “নবরাত্রি চলাকালীন গুজরাতের পরিকাঠামো, ক্রীড়া এবং আধ্যাত্মিকস্থলগুলিতে শিলান্যাস করতে পারছি, এটা আমার সৌভাগ্য। গণ-ভাগিদারী এবং ঐক্যের সেরা উদাহরণ হল সুরাত। গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এখানে থাকেন। সুরাত হল ‘মিনি ইন্ডিয়া’।” মোদীর ব্যাখ্যা, ডাবল ইঞ্জিন সরকার হওয়ার পরে গুজরাতে বাড়ির নির্মাণ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বেড়ে গিয়েছে। সুরাতের গরীব এবং মধ্যবিত্তেরা এখন অনেক সুবিধা পাচ্ছেন। এ ছাড়া, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে ৪ কোটি দরিদ্র রোগী বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়েছেন গোটা দেশে।
প্রধানমন্ত্রীর মতে, “গত ২০ বছরে সুরাতের সব দিক থেকে উন্নতি হয়েছে। এই শতকের প্রথম দশকে আমরা তিনটি ‘পি’ নিয়ে আলোচনা করতাম। পাবলিক, প্রাইভেট এবং পার্টনারশিপ। কিন্তু সুরাতে আমি চারটি ‘পি’-এর উদাহরণ দিতে পারি। পিপল, পাবলিক, প্রাইভেট এবং পার্টনারশিপ। এই মডেলটিই সুরাতকে বিশেষ অঞ্চল করে তুলেছে।” সুরাতের উন্নয়নের প্রশংসা করতে গিয়ে মোদীর বক্তব্য, “সুরাতকে বিমানবন্দরের সঙ্গে যে রাস্তাটি সংযুক্ত করেছে তা এই শহরের সংস্কৃতি, আধুনিকতা এবং ঐতিহ্যের প্রতিফলন। আমরা সে সময়ে দিল্লির সরকারকে বুঝিয়ে বুঝিয়ে ক্লান্ত হয়ে যেতাম যে, কেন সুরাতের একটি নিজস্ব বিমানবন্দর থাকা প্রয়োজন। এই শহরের শক্তি কতটা। আজ কত উড়ান এখান থেকে ছাড়ছে!”
আজ ডায়মন্ড রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেন্টাইল (ড্রিম) সিটি-র মূল ফটক এবং সড়ক পরিবহণ প্রকল্পের প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের শিলান্যাস করেন মোদী। গুজরাতে আজ দিনভর অক্লান্তভাবে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন তিনি। বায়োডাইভারসিটি পার্কের শিলান্যাস করেছেন। যোগ দিয়েছেন, আমদাবাদে ন্যাশনাল গেমস-এর উদ্বোধনে। তিনি টুইট করে বলেছেন, “জাতীয় গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে আমদাবাদে দুর্দান্ত ড্রোন শো দেখলাম।” টুইট বার্তার সঙ্গে তিনি চারটি ছবি পোস্ট করেন। ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে, অলিম্পিকে ভারতের কৃতিত্ব, গুজরাতের মানচিত্র, জাতীয় গেমস ২০২২-এর লোগো এবং স্ট্যাচু অব ইউনিটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy