প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
চরম ব্যস্ততার মধ্যেও সৃষ্টিকর্মের জন্য সময় বার করেন ‘দিদি’। ২০২১ সালে বঙ্গের বিধানসভায় প্রবল পরাক্রমে লড়াই করেও ‘দিদি’ অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করতে পারেননি নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সৃষ্টির নেশায় মোদী নিজেও যে পিছিয়ে নেই, তার নমুনা এ বার সামনে এল। বিশ্বক্ষুধা নিবারণে তাঁর মন্ত্র, বাজরা। সেই বাজরার গুণাগুণ প্রচারে কলম হাতে নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। গ্র্যামি বিজয়ী ইন্দো-আমেরিকান গায়িকা ফালু তথা ফাল্গুনি শাহের সঙ্গে একটি বিশেষ গান লিখে ফেলেছেন তিনি।
গুজরাতে নির্বাচনের আগে মোদীকে নিয়ে অনেক গান লেখা হয়েছে। সেখানকার গরবা অনুষ্ঠানের জন্য তিনি নিজেও গুজরাতিতে গান লিখেছেন। কিন্তু হিন্দিতে এই প্রথম। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, বিশ্ব বাণিজ্য, আয়ুর্বেদ, অর্থনীতি, কৃষিকল্যাণ, আধ্যাত্মিকতা, বড় ও ছোট শিল্পোদ্যোগ, রাজনৈতিক ইতিহাস, প্রাচীন শাস্ত্র— সবেতেই দেশবাসীকে উপদেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছেন, এমনটাও তো ধারাবাহিক ভাবে বলছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিশ্বগুরুর ভূমিকা সামলানোর মধ্যেই আবার দেশে ছাত্রছাত্রীরা কী ভাবে পরীক্ষার চাপ কাটিয়ে উঠবে, তা নিয়ে নিয়মিত চর্চা করতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। লালকৃষ্ণ আডবাণী যেমন সিনেমা দেখতে ভালবাসতেন, তা মোদীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না হলেও বলিউডের তারকাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন তিনি। মোদীর পোশাকেও ফুটে ওঠে শৌখিনতা ও সৃজনের ছোঁয়া।
কিন্তু এত দিন সরাসরি শিল্পসৃষ্টির সঙ্গে সে ভাবে যুক্ত ছিলেন না মোদী। এ বার গ্র্যামি বিজয়ীর সঙ্গে গান লেখার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই রাজনৈতিক মহলে তুলনাটা চলে আসছে ‘দিদি’ এবং মোদীর মধ্যে। কারণ মমতা নিজে শুধু গান ভালবেসে বা গেয়েই ক্ষান্ত নন। ছবি আঁকার পাশাপাশি, তিনি এক জন গীতিকারও বটে। সেগুলির কোনওটা গোল্ডেন ডিস্ক, কোনওটা প্ল্যাটিনাম ডিস্কের শিরোপা পেয়েছে। এ বার দুর্গাপুজোয় শুধু লেখা আর সুর করাই নয়, গানে কণ্ঠও দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। গত বছর ‘বাংলার গান, উৎসবের গান’ শীর্ষক যে পুজো অ্যালবামে তিনি গেয়েছেন, তার আটটিই তাঁর লেখা এবং সুর করা। সেই সঙ্গে ‘নিরলস সাহিত্য সাধনার’ জন্য তাঁর ‘কবিতা বিতান’ গ্রন্থ পেয়েছে বাংলা আকাদেমি পুরস্কার।
মোদী এবং মমতার এই সৃজনের তুলনায় প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ আজ বলেছেন, “তৃণমূল নেত্রী শিল্পসাহিত্যের প্রায় সব দিকেই সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁর গান, কবিতা, ছবি— সব কিছুরই মানুষের কাছে চাহিদা রয়েছে, তার বিরাট বিক্রিও রয়েছে। রয়্যালটির অর্থে নেত্রীর নিজের খরচ চলে যায়। ফলে মোদী যাই করতে চাইবেন, সেটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নকল করছেন বলে মনে হবে। এক মাত্র নাচের জায়গাটা ফাঁকা রয়েছে, ওটা বরং উনি চেষ্টা করতে পারেন!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy