প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লিতে ‘অ্যাসোচেম’-এর বৈঠকে। শুক্রবার। ছবি- পিটিআই।
মন্দা কাটিয়ে আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে ভারত। পাঁচ বছরের মধ্যেই পৌঁছে যাবে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে। শুক্রবার এই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লিতে ‘অ্যাসোচেম’-এর একটি অনুষ্ঠানে। জানিয়েছেন, আগামী দিনে তাঁর সরকার ১০০ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করবে শুধু পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে।
প্রধানমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘দেশের চলতি অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে কে কী বলছেন, তা আমার জানা আছে। আমি তাঁদের নিয়ে কোনও পাল্টা মন্তব্য করতে চাই না। শুধু বলব, এই মন্দা কাটিয়ে শীঘ্রই ভারত আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে।’’
তিনি মনে করিয়ে দেন, এমন অর্থনৈতিক মন্দা অতীতেও হয়েছে। কয়েক বার হয়েছে। মোদীর কথায়, ‘‘এর আগের জমানায় (ইউপিএ) দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার সাড়ে তিন শতাংশে নেমে গিয়েছিল। অতীতেও নানা ওঠা-নামার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে ভারতের অর্থনীতিকে।’’ এর পরেই তিনি জানান, সব সমস্যা কাটিয়ে আর পাঁচ বছরের মধ্যেই ভারত ৫ লক্ষ কোটি ডলার অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে।
দেশের অর্থনীতিকে ফের চাঙ্গা করে তুলতে ব্যবসার সম্প্রসারণে তাঁর সরকার যে আন্তরিক ভাবেই আগ্রহী, এ দিন সেই বার্তাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানিয়েছেন, যাতে খুব সহজেই কেউ ব্যবসা শুরু করতে পারেন আর সেই ব্যবসাকে টিঁকিয়ে রাখতে পারেন, সে জন্য কোম্পানি আইনকে ঢেলে সাজা হচ্ছে। তাকে আরও বেশি মানবিক করে তোলা হচ্ছে। কমানো হয়েছে কর্পোরেট করের হারও। সাম্প্রতিক কালে যা সর্বনিম্ন। তবে শ্রমিকদের কথাও ভাবতে হবে, কবুল করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার দিল্লিতে ‘অ্যাসোচ্যাম’-এর একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানান, ব্যবসায় উৎসাহ বাড়াতে তাঁর সরকার প্রথম থেকেই আগ্রহ দেখিয়েছে। যা যা করণীয়, সে দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। করা হয়েছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তাঁর কথায়, ‘‘খুব সহজে ব্যবসা করা যায়, এমন ১০টি দেশের তালিকায় ভারত গত তিন বছরে ঢুকে পড়েছে।’’
কোম্পানি আইনে কী কী রদবদল ঘটানো হয়েছে তা জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘কোনও নতুন কোম্পানির নথিভুক্তিকরণের সময় আগের চেয়ে অনেকটা কমানো হয়েছে। এর জন্য আগে কয়েক মাস লেগে যেত। সেটা এখন কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের সুবিধার্থে বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে তাড়াতাড়ি পৌঁছনোর জন্য সড়ক-সহ নানা ধরনের পরিকাঠামোরও উন্নতি ঘটানো হয়েছে। শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের পরামর্শ মেনেই চালু করা হয়েছে পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি)। সেই করের বিভিন্ন স্তরেরও সরলীকরণ করা হয়েছে।’’
মোদী এ দিন এও জানান, কোম্পানি আইনে যে সব ফৌজদারি আইন রয়েছে, ব্যবসাকে উৎসাহ দিতে সেগুলি বাদ দেওয়া হবে বা সংশোধন করা হবে। তবে কোম্পানি আইন থেকে সংশ্লিষ্ট কোন কোন ফৌজদারি আইন বাদ পড়বে বা সেগুলির সংশোধন হবে, তা স্পষ্ট জানাননি প্রধানমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy